বাংলা: ২৪১/৯ (অনুষ্টুপ ১১১, করণ লাল ৬৬, বলতেজ সিং ৫/৩৫)
পাঞ্জাব: ১৯০ (কৌশিক ৩/৩৬, শাহবাজ ৩/৫৩, কাইফ ২/৩১, প্রদীপ্ত ২/৩৩)
বাংলা ৫২ রানে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোয়াকে ৮ উইকেটে হারানোর পর এবার পাঞ্জাবকে ৫২ রানে হারিয়ে দিল বাংলা। মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর এই জয়ের সৌজন্যে চলতি বিজয় হাজারে ট্রফির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে সুদীপ ঘরামির দল। কারণ তামিলনাড়ু বিপক্ষ দল নাগাল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাকেও লিগ পর্যায়ে হারিয়েছিল তামিলনাড়ু। তাই জিতলেও বাংলা দুই নম্বরে থেকে গেল।
তবে জয়ে বড় ভূমিকা পালন করলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। এই নিয়ে লিস্ট এ প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ শতরান সেরে নিলেন ৩৯ বছরের অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ। অন্যদিকে বল হাতে বিপক্ষকে উড়িয়ে দিলেন কৌশিক মাইতি, শাহবাজ আহমেদ, মহম্মদ কাইফ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক।
এদিন টসে জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠান পাঞ্জাবের অধিনায়ক মনদীপ সিং। অভিমন্যু ঈশ্বরণ চোটের জন্য খেলতে পারছেন না। বাকিরাও পাঞ্জাবের বোলারদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন। একটা সময় মাত্র ৮৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বঙ্গব্রিগেড। তবে চাপের মুখে না চুপসে করণ লালকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন বহুযুদ্ধের নায়ক অনুষ্টুপ। ১১৬ বলে ১১১ রান করেন রুকু। এই ইনিংসে মারলেন ১০টি চার। অন্যদিকে করণের ব্যাট থেকে এল ৬৩ বলে ৬৬। তাঁর মারকুটে ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। দুজন সপ্তম উইকেটে ১৪৫ রান যোগ করেন। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪২ রান তুলে দেয় বাংলা।
[আরও পড়ুন: রোহিতের পর ভারতের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক কে? বড় মন্তব্য প্রাক্তন ওপেনারের]
লড়াই করার মতো রান তো হাতে ছিলই। এদিকে বাংলার বোলাররাও ছিলেন দারুণ ফর্মে। ফলে মাত্র ২৪.১ ওভারে বিপক্ষকে ১৯০ রানে অলআউট করে দিলেন কৌশিক-শাহবাজরা। তাঁদের যোগ্য সঙ্গত করলেন কাইফ ও প্রদীপ্ত। কৌশিক ৩৬ রানে ৩, শাহবাজ ৫৩ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কাইফ ও প্রদীপ্ত।
প্রতিযোগিতার নিয়ম হচ্ছে, পাঁচ গ্রুপের সেরা পাঁচ দল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাঁচটি দল ও পয়েন্টের বিচারে তৃতীয় স্থানে থাকা একটি দল – সব মিলিয়ে ৬টি দল উঠবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখান থেকে তিন বিজয়ী দল উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে। বাংলা যেহেতু বিপক্ষের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিতলেও, তামিলনাড়ুর কাছে গ্রুপ পর্বে হেরেছিল। তাই এবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পেল। বাংলার পরের ম্যাচ ৯ ডিসেম্বর।