স্টাফ রিপোর্টার: গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করতেই পারল না বঙ্গ বিজেপি (BJP)। গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরের আসনে তিনজন করে প্রার্থীদের নাম জেলা কমিটিগুলিকে জমা দিতে বলা হয়েছিল গত ২০ মার্চের মধ্যে। কিন্তু গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে ২৫ শতাংশ আসনেও এখনও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা যায়নি।
পঞ্চায়েত ভোট দরজায় কড়া নাড়ছে, তখন তিনজন করে প্রার্থী খুঁজতে শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ পালনে বিজেপি হিমশিম খেতে হচ্ছে জেলা কমিটিগুলিকে। সিংহভাগ বুথেই প্রার্থী পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বঙ্গ বিজেপিতেই। বাংলায় বিজেপির সংগঠনের কঙ্কালসার চেহারা নিয়ে চিন্তিত রাজ্য নেতারা। ২০ শতাংশ বুথেও সক্রিয় কমিটি হয়নি। তাই তড়িঘড়ি গত ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে বুথ সশক্তিকরণ অভিযান। রাজ্য নেতারা ছুটছেন বুথে বুথে। সাংসদ-বিধায়করা ঘুরছেন নিজেদের এলাকার বুথে। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বুথে ঘুরতে গিয়ে সাংগঠনিক চেহারার যে ছবি উঠে আসছে তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অশনি সংকেত দেখছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। ফলে সংগঠনের আসল ছবিটা যদি এই মুহূর্তে দিল্লিতে পাঠানো হয় তাহলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হবে। ফলে প্রতি বুথ থেকে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম কি করে পাঠানো সম্ভব হবে তা নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে জেলা নেতাদের।
[আরও পড়ুন: ছেলের অন্নপ্রাশনের টাকা নিয়ে উধাও ক্যাটারার, প্রতারিত চিকিৎসক সেলের তৃণমূল নেতা]
দলীয় সূত্রে খবর, বুথ সশক্তিকরণ অভিযান চললেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না। বহু পুরনো নেতাকর্মীরা এখনও মাঠে নামেননি। ইতিমধ্যে আবার বাংলায় দলের সংগঠনের প্রকৃত চেহারাটা কী, ২০২৪—এর লোকসভা নির্বাচনে কীরকম ফলাফল হতে পারে, সেই তথ্য দিল্লির গড়া টাস্ক ফোর্সকে দিতে হবে বঙ্গ বিজেপিকে। আগামী ৪০ দিনের মধ্যে এই রিপোর্ট তিন সদস্যের গঠিত টাস্ক ফোর্সের কাছে জমা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ এসেছে।
এদিকে, বুথ সশক্তিকরণ অভিযানে নেমে বুথের সাংগঠনিক শক্তি অনুযায়ী বুথগুলিকে এ—বি—সি—ডি এই চারটি গ্রেডে ভাগ করা হচ্ছে। রাজ্য কমিটির তরফে এমনই সার্কুলার দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে।‘এ’ গ্রেডের বুথ মানে সেখানে জয় সুনিশ্চিত। ‘বি’ গ্রেডের অর্থ সেখানে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ‘সি’ গ্রেড মানে হার হতে পারে। আর ‘ডি’ গ্রেডের বুথ মানে সেখানে পরাজয় সুনিশ্চিত। বুথ সশক্তিকরণ অভিযান চলার সময় এভাবেই বুথের শক্তি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে।