রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ক্রমাগত ব্যর্থতার জেরে এবার বঙ্গের সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদলের পথে হাঁটল বিজেপি (BJP)। দক্ষ কর্মীর অভাবে অবলুপ্তির পথে বুথ কমিটি। শক্তিকেন্দ্র ও বুথকে একসঙ্গে অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন করার ভাবনা রয়েছে। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (JP Nadda) বঙ্গ সফরেই এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে সংগঠনের নয়া রূপরেখা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
বিজেপি সংগঠনের কাঠামো সাধারণত এরকম – রাজ্য, বিভাগ, জেলা, মণ্ডল, শক্তিকেন্দ্র এবং বুথস্তর। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে রাজ্যে গেরুয়া শিবির মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেও সমস্ত বুথে দক্ষ কর্মী, নেতার অভাব রয়েছে। মোট ৭৭ হাজার বুথের বেশিরভাগই তাই দুর্বল। বারবার নির্বাচনে হারের পিছনে বুথস্তরের দুর্বলতার কথাই উঠে এসেছে দলের আভ্যন্তরীণ ময়নাতদন্তে। সেইসঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দলের সর্বনাশা ভূমিকা তো আছেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত, বুথ মজবুত না হলে ভোটে জেতা একেবারেই সহজ নয়।
[আরও পড়ুন: রাজভবনের বাইরে SLST প্রার্থীদের বিক্ষোভের মাঝেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী]
বঙ্গ রাজনীতির বাস্তব কথা বুঝেই এবার সেই শক্তিকেন্দ্র ও বুথ কে একসঙ্গে অঞ্চল ভিত্তিক সংগঠন করতে চলেছে বিজেপি। গঠিত হতে পারে অঞ্চল কমিটি। এমনটা হলে এ রাজ্যের ক্ষেত্রে গেরুয়া সংগঠনে বড়সড় পরিবর্তন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
[আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন খারিজ, ১৪ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে রোদ্দুর রায়কে]
জে পি নাড্ডার ২ দিনের রাজ্য সফরের আজই ছিল শেষ দিন। দল ও সংগঠনের একাধিক কর্মসূচি পালনের পর সন্ধেবেলা কলামন্দিরে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানেই বলেন, করোনার জন্য বাংলা গত বিধানসভা নির্বাচনে ভালভাবে প্রচার করতে পারেনি বিজেপি। পৌঁছনো যায়নি জনতার কাছে। আর সেই কারণেই হার মানতে হয়েছে। নয়ত ২০২১-এই বাংলার দখল নিতে পারত ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে নাড্ডার দাবি অনুযায়ী যে কাজ ততটা সহজ নয়, বুথস্তর অবলুপ্ত করে আঞ্চলিক স্তরে তা মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট।