ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘বঞ্চনা’ ইস্যুতে এবার তৃণমূলেরই সুর বিজেপি বিধায়কদের (BJP MLA) গলায়। শুক্রবার বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কাছে এই ইস্যুতে সরব হলেন দলের বিধায়করা। সাফ জানালেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা না পেয়ে সমস্যায় প্রান্তিক মানুষজন। যত দ্রুত সম্ভব, কেন্দ্রকে এই টাকা দেওয়ার কথা বলুন সুকান্ত মজুমদার। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হোক। বিধায়কদের এই কথা শুনে সুকান্তবাবু আশ্বাস দেন, তিনি অবশ্যই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করবেন।
১০০ দিনের কাজ (MGNREGA)-সহ একাধিক যৌথ প্রকল্পের কাজ করা সত্ত্বেও বকেয়া পাননি বাংলার কৃষক, শ্রমিকরা। এই অভিযোগে কেন্দ্র বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC)। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ‘বঞ্চিত’রা দিল্লির কৃষি ভবনে গিয়ে নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবিতে ধরনা দিয়েছেন। একাধিকবার বকেয়ার দাবিতে প্রশাসনিক স্তরে চিঠি লেখালেখিও হয়েছে। কিন্তু সেসব ফলপ্রসূ হয়নি। তৃণমূল নেত্রী নিজেও ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লি যেতে পারেন বলে খবর।
[আরও পড়ুন: বচসার জেরে রাস্তার উপরই কুপিয়ে খুন যুবক, উত্তপ্ত চিৎপুর এলাকা]
তৃণমূলের সেই সুরেই এবার বকেয়ার দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বিজেপি বিধায়করা জানান, এভাবে ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যোগ্যদের পাওনা দিয়ে দেওয়া হোক। তার জন্য কেন্দ্রকে টাকা দিতে বলুন সুকান্ত মজুমদার। এদিন বিধানসভায় তাঁকে কাছে পেয়ে এমনই দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়করা। তাতে সুকান্ত মজুমদারের জবাব, ”আপনারা যোগ্যদের একটা তালিকা তৈরি করে আমাকে পাঠান। আমি সেই তালিকা-সহ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে টাকা দেওয়ার কথা বলব।”
[আরও পড়ুন: ফের খুন জয়নগরে, দাম্পত্য অশান্তির জেরে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা!]
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর্যালোচনা করতে বসে গেরুয়া শিবির। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সামনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যের বকেয়া টাকা আটকে দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। তাঁর বিরোধিতা করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য ছিল, এতে ব্যুমেরাং হতে পারে। ওই ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের মধ্যে দলেরও বহু সমর্থক রয়েছেন, তাঁরা বঞ্চিত হলে সমস্যাই বাড়বে। বাস্তব বুঝে দিলীপের সেই কথাই এখন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বিজেপি বিধায়কদের গলায়।