ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শুভেন্দুবিহীন রাজ্য মন্ত্রিসভা। বিধানসভা ভোটের মাস কয়েক আগে তিন তিনটে দপ্তরের দায়িত্ব নতুনভাবে বণ্টন করার মতো গুরুদায়িত্বের কাজটা করেই ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেচ, পরিবহণ, জলসম্পদ – তিন দপ্তরের দায়িত্ব নিজেই নিলেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) ছেড়ে যাওয়া গুরুত্বপূ্র্ণ পরিবহণ দপ্তরের দায়িত্ব কারা পাবেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল শুরুতেই। পরিবহণ দপ্তরের দায়িত্ব পেতে পারেন ফিরহাদ হাকিম বা অরূপ বিশ্বাস, এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সেচদপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে, এই গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সম্ভাবনা পালটে যায়। ফিরহাদের কাঁধে আপাতত পুর, নগরোয়ন্নয়ন দপ্তরের ভার। অরূপ বিশ্বাসের হাতে দুটি দপ্তরের ভার – ক্রীড়া, যুবকল্যাণ। এই সবকটি দপ্তরই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া তাঁদের সংগঠনেরও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আছে। অন্যদিকে, মন্ত্রিসভা গঠনের প্রথম দিক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজে বেশ কয়েকটি দপ্তর তাঁর নিজের কাছে রেখেছিলেন। এবার তাতে যোগ হল তিনটি – সেচ, পরিবহণ, জলসম্পদ।
[আরও পড়ুন: কোম্পানির ৪০ লক্ষ টাকা চুরি! রেললাইনের ধারে লুকিয়েও রেহাই পেলেন না কর্মী]
শুক্রবার বিকেলে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পরই জরুরি বৈঠকে দলের শীর্ষনেতাদের নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সভাপতি সুব্রত বক্সি, দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানে প্রায় ঘণ্টা দুই ধরে বৈঠকের পর ঠিক হয় দপ্তর বণ্টনের বিষয়টি। ফিরহাদ হাকিম বা অরূপ বিশ্বাসকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার বদলে তিনটি দপ্তরের কাজ আপাতত নিজেই দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী, এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘সাপুড়েকে সাপের ছোবলেই মরতে হয়, তৃণমূল ধুলিসাৎ হবে’, শুভেন্দুর ইস্তফায় প্রতিক্রিয়া অধীরের]
অন্যদিকে, প্রথা মেনে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে তা পাঠিয়েছেন রাজ্যপালের কাছে। তিনি আপাতত দার্জিলিংয়ে রয়েছেন। তাই দার্জিলিংয়ের রাজভবনে পাঠানো হয়েছে ইস্তফাপত্রটি। টুইট করে একথা জানিয়েছেন জগদীপ ধনকড় নিজেই। আর এভাবেই শুভেন্দুর মন্ত্রিত্ব পর্বে ইতি পড়ল।