রমেন দাস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু। সন্তোষপুর এলাকার মেসে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গোটা ঘটনায় ধোঁয়াশায় পরিবার! মৃত পড়ুয়ার এক আত্মীয় জানান, ছাত্রের অসুস্থতার খবর পেয়েই কলকাতা আসেন তাঁরা। তবে পৌঁছনোর আগেই সব শেষ। কীভাবে মৃত্যু, তা ভাবাচ্ছে পরিবারকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় সকলে।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম প্রতীপকুমার মান্না। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। থাকতেন সন্তোষপুর এলাকার একটি মেসে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গভীররাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রতীপ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। এদিকে ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৃত্যু হয় যুবকের।
বিষয়টি জানার পর বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুনীতা অধিকারী বলেন, "ওই ছাত্র অসুস্থ ছিল। বহু পরীক্ষা বা ক্লাসের ক্ষেত্রেও নিয়মিত ছিলেন না। আমরা গতকাল জানতে পারি। মেসে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে শুনেছি। ময়নাতদন্ত হয়েছে। আমরা অত্যন্ত শোকাহত এই ঘটনায়।" বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ মিতালি দেব বলেন, "মেসে থাকতেন। হস্টেলের আবাসিক ছিলেন না। শুনেছি, ওই ছাত্রের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু এটা বিশদে জানতে পারিনি।"
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রের অসুস্থতার খবর পেয়েই পৌঁছয় হাসপাতালে। তাঁদের দাবি, আমরা শুনেছি ছাত্রের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। সেটার ফলেই এই মৃত্যু হতে পারে বলে অনুমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।