ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মঙ্গলবারই ভবানীপুর চত্বর চষে ফেলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। জন সংযোগ কর্মসূচি সেরেছেন। পালটা বৃহস্পতিবার সকালে যদুবাবুর বাজারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে হাজির হলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Bannerjee) । তুলে ধরলেন সরকারি প্রকল্পের কথা। কীভাবে আমজনতার সেই প্রকল্পের অংশ হতে পারবেন, তাও বুঝিয়ে দিলেন।
এদিন বেলা ১২টা নাগাদ যদুবাবু বাজারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে হঠাৎই হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাংলা সফরকে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। মমতার কথায়, “বাংলার পার্টি তৃণমূল। বিজেপির দিল্লির দল।” একইসঙ্গে এনআরসি, এনপিআর নিয়েও সরব হন তিনি। বলেন, “ভোটার কার্ডে নাম না তুললে এনআরসি করে বিজেপি (BJP) নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারে।”
[আরও পড়ুন : নাড্ডার রাজ্য সফরে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ, অমিত শাহকে চিঠি দিলীপের]
নাড্ডার সফরে একাধিকবার হামলার অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর কটাক্ষ, “ওদের একজন ভদ্রলোক এসেছেন। রেগুলার কেউ না কেউ আসে। শুনলাম উনি নাকি ভয় পাচ্ছেন মিটিংয়ে যেতে। বাবা এত ভয়? ওনার সঙ্গে বিএসএফ, সিআরপিএফ, আইবি এত লোক এত গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।” পাশাপাশি দিল্লির বিজেপি সরকারকে উদ্দেশে করে তাঁর কটাক্ষ, “আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গিয়েছে। কাজ করব আমরা আর ওঁরা খালি কৈফিয়ত চাইবে। রাজ্যের সমস্ত টাকা লুঠ করে। বদলে খালি লাঞ্ছনা আর বঞ্চনা পাই।” সরকারে দুয়ার কর্মসূচিতে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর এই উপস্থিতি রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন তিনি আরও বলেন, “ওরা বলে এখানে আইন-শৃঙ্খলা নেই, আমার মা-বোনেরা কি রাস্তায় বেরোতে পারেন না? বলুন। এখানে শিক্ষা নেই, স্বাস্থ্য নেই, খাদ্য নেই? ওদেরকে জিজ্ঞাসা করুন দিল্লির কুঠুরিতে কি আছে?” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, মালা রায়। নজর কেড়েছেন মদন মিত্র। মদন মিত্রের পার্টি অফিসে সামনে ক্যাম্প করা হয়েছে। মূলত গাড়িচালক, হকার, মুটে মজুরের তাদের জন্য মূলত ক্যাম্প করা হয়। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি এলাকার নাগরিকরাও এইখান থেকে সুবিধা পাবেন।
[আরও পড়ুন : সংকটজনক হলেও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধবাবু, নিয়ন্ত্রণে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা]
উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতায় ক্যাম্প আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কাজগুলি যেন ঠিকঠাক হয় সবাই যেন ঠিকঠাক স্বাস্থ্যসাথী পায়, সেটা ফিরহাদ হাকিমকে দেখতে বলেছেন। ট্রান্সজেন্ডারদের স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের ব্যাপারে বিশেষ ক্যাম্প করতে বলেছেন।