অভিরূপ দাস: “করোনা ওরে করোনা। তোর ইস্কুলেতে যাওয়ার স্বভাব গেলো না….”- এমনই গান বেঁধেছেন বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডা. অনির্বাণ দত্ত। কন্ঠ ছেড়েই গানটি গেয়েছেন তিনি। তাও আবার ‘টপ্পা’র সুরে।
জনপ্রিয় টপ্পা গানের জনক নিধুবাবু বা রামনিধি গুপ্ত। শোনা যায়, ভারতের বিহার রাজ্যের ছাপড়া জেলায় চাকরি করতেন নিধুবাবু। সেখানে তিনি এক ওস্তাদজির কাছে টপ্পা গানের তালিম নেন। ভারতীয় সংগীতে যেমন টপ্পা গানের জনক ‘শোরী মিয়া’। বাংলায় তেমনই নিধুবাবু। এই নিধুবাবুর টপ্পার সুরে করোনা ভাইরাস (Coronavirus) নিয়ে তৈরি গান এবার শোনা গেল ডা. অনির্বাণ দত্তর গলায়।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: দেশে করোনা সংক্রমণ সামান্য নিম্নমুখী, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যুর উচ্চ হার]
প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে উপচে পড়ছে কোভিড (COVID-19) রোগী। বাদ যায়নি বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজও। রোগী দেখার ফাঁকে হাসপাতালের চিকিৎসক গান তৈরি করেছেন। নিজেই গেয়েছেন। তাঁর গানে উঠে এসেছে বর্ষবরণের কলকাতার কাহিনি। যেখানে গিজগিজ করছে মানুষ। যত দূর চোখ যাচ্ছিল, তত দূর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল কালো মাথা। সামাজিক দূরত্ববিধির কোনও বালাই ছিল না বললেই চলে। মাস্কও কতজন পরেছিলেন, তা অনুমান করা দায়।
কোন ভাবনা থেকে এই টপ্পা? ডা. অনির্বাণ দত্তর বক্তব্য, তৃতীয় ঢেউয়ে অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত৷ তার মধ্যেও চলছে সবই। বন্ধ শুধু পঠন-পাঠন। “আমার মনে হয় এই ভাইরাসটা অদ্ভুত। শুধু স্কুলের আশপাশেই ঘোরাঘুরি করছে।” বলেন বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক। গানের মাধ্যমে তাই চিকিৎসক জানিয়েছেন, করোনা ‘ব্যাটা’ অদ্ভুত ভাইরাস। পার্কস্ট্রিটকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু স্কুল দেখলেই ঢুকে পড়ছে। সারাদিন রোগী দেখতে হয়। হাসপাতালেই কেটে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তার মাঝেই যেটুকু সময় পেয়েছেন সেই অবসরে গানটি তৈরি করেছেন অনির্বাণ। এতে কৌতুকের ছলে মানুষকে সচেতন করা সম্ভব বলে মনে করছেন অনেকে।