রূপায়ন গঙ্গেপাধ্যায়: একুশের ভোটে বঙ্গে ‘ইতিহাস’ গড়েছে বিজেপি। শাসকদল হওয়ার স্বপ্ন চুরমার হলেও এই প্রথমবার রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসছে বিজেপি। বলা ভাল, বিধানসভায় একমাত্র বিরোধী দল তারাই। কিন্তু বিরোধী দলের নেতা কে হবেন, কার হাতে থাকবে বিধানসভার পরিষদীয় দলের ব্যাটন, তা নিয়ে দলের অন্দরেই দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে বলে খবর।
একুশের মহারণে ৭৭টি আসন জিতেছে বিজেপি।কিন্তু অধিকাংশ নেতা-নেত্রীই প্রথমবারের বিধায়ক। হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বাকিদের পরিষদীয় রাজনীতির অভিজ্ঞতাও নেই। ফলে বিরোধী দলনেতা কে হবেন, তা নিয়ে একটা দোটানা রয়েই গিয়েছে।
[আরও পড়ুন : বাম-কংগ্রেস শূন্য, বিধানসভায় অতিরিক্ত ঘর কার? তুঙ্গে জল্পনা]
ফলে যাঁদের নাম নিয়ে দলের অন্দরে ভাবনা চিন্তা চলছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম বালুরঘাটের বিধায়ক অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ি। নজরে রয়েছেন দলের আরেক জয়ী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। আবার আদি বিজেপি হিসাবে জয়ী হয়েছেন মাদারিহাট থেকে মনোজ টিগ্গা ও বৈষ্ণবনগর থেকে স্বাধীন সরকার এবং শান্তিপুর থেকে জিতেছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। উল্লেখ্য, গত ২০১৬-এর বিধানসভা ভোটে তিনটি আসন বিজেপি পেয়েছিল। জয়ী হয়েছিলেন মনোজ টিগ্গা, স্বাধীন সরকার ও খড়গপুর থেকে দিলীপ ঘোষ। সেই বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা ছিলেন মনোজ টিগ্গা। কিন্তু এবার পরিষদীয় দলনেতা হওয়ার দৌড়ে তাঁর চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় সূত্রে খবর, মুকুল রায় অসুস্থ। উপরন্তু তাঁর কাঁধে রয়েছে দলের সংগঠন মজবুত করার দায়িত্ব। ফলে তাঁকে বিরোধী দলনেতা করা হলে অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হবে তাঁকে। যা অসুস্থ অবস্থায় কার্যত সম্ভব নয়।
অন্যদিকে একুশের মহারণে নন্দীগ্রামের মতো হাইভোল্টেজ আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে ভরাডুবির মাঝে দলের মান বাঁচিয়েছেন তিনি। তারই পুরস্কার স্বরূপ এবং অভিজ্ঞতাকে সম্মান জানিয়ে বিরোধী দলনেতার ব্যাটন নন্দীগ্রামের বিধায়কের হাতে তুলে দিতে পারে বিজেপি। অন্তত এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর।