মলয় কুণ্ডু: মানবিক সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার। বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে ফের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যের। এবার মোট ১৪৫ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে ১০ জন মহিলা। এবং বাকি ১৩৫ জনই পুরুষ।
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৫৪১ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হল। তাঁদের মধ্যে ৩৩ জন মহিলা। ২০১১ সালে মোট ৯ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। তার পরের বছর সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৪ জন।
[আরও পড়ুন: গাড়িতে সাড়ে সাত কোটি টাকার হেরোইন পাচার! কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার দম্পতি-সহ ৪]
২০১৩ এবং ২০১৪ সালে যথাক্রমে ৪৫ এবং ৪৪ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে সংখ্যাটা ছিল ২১ জন। তবে ২০১৬ সালে একজনও বন্দি মুক্তি পায়নি। ২০১৭ সালে ৪জন, ২০১৮ সালে ১ জন, ২০১৯ সালে ৪৭ জন এবং ২০২০ সালে ৮২ জন বন্দি মুক্তি পায়। গত বছর ৪২ জন বন্দি মুক্তি পায়। চলতি বছর নতুন করে ১৪৫ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩৫ জন পুরুষ এবং বাকি ১০ জন মহিলা।
১৪ বছর জেলে কাটানোর পর বহু বন্দিকেই মুক্তি দেওয়া হয়। সরকারে গঠিত একটি কমিটি ওই বন্দিদের আচরণ, স্বাস্থ্য, বয়স এবং জেলে থাকার মেয়াদের উপর নির্ভর করে মুক্তির ব্যাপারে সুপারিশ করে। এছাড়া পুলিশ রিপোর্টের উপরেও ভিত্তি রয়েছে। বন্দি মুক্তি পেলে আর অপরাধ করতে পারেন কিনা, সে বিষয়টি ভেবে দেখা হয়। সব দিক বিবেচনা করে কারা এবং স্বরাষ্ট্রদপ্তর সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে বিভিন্ন সময় সুপ্রিম কোর্ট এবং হাই কোর্টেও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দিতে সুপারিশ করে।