সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় করতে করোনা প্রতিষেধক (COVID Vaccine) নিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) এবং তাঁর স্ত্রী। বৃহস্পতিবার বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ স্ত্রীকে নিয়ে তিনি পৌঁছে যান আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে। সেখানেই করোনা টিকা নেন জগদীপ ধনকড়। তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনকড়কেও কোভিড টিকা দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরে টুইট করে নিজেদের সেই টিকাগ্রহণের খবর জানান ধনকড়।
গত বছরের প্রথমে বিশ্বজুড়ে করোনা (Coronavirus) মহামারী থাবা বসানোর পরই মারণ ভাইরাস বধে প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। সেদিক থেকে প্রথম বিশ্বের দু, একটি দেশের পাশাপাশি ভারতও সেই গবেষণায় প্রভূত সাফল্য অর্জন করেছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় দেশীয় প্রযুক্তিতে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি হয়েছে করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’। পাশাপাশি, ভারত বায়োটেক তৈরি করে ফেলেছে ‘কোভ্যাক্সিন’। নতুন বছরের শুরুতে এই জোড়া প্রতিষেধকেই দেশজুড়ে চলছে টিকাকরণ। বাংলাতেও দু’ধরনের ভ্যাকসিন পৌঁছে গিয়েছে। প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের টিকাদানে প্রাধান্য দিয়ে এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবীণদের টিকাকরণ চলছে। এই দফায় ভ্যাকসিন পাচ্ছেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তিরাও। সম্প্রতি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই কোভ্যাক্সিন নিয়ে দেশবাসীর আশা, ভরসা আরও বাড়িয়েছেন। ভ্যাকসিন নিয়েছেন রাষ্ট্রপতিও। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান জগদীপ ধনকড়।
[আরও পড়ুন: বাঁ-পায়ের গোড়ালিতে চিড়, রয়েছে শ্বাসকষ্ট, এসএসকেএমে ২-৩ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী]
বৃহস্পতিবার বেশ হাসি মুখেই তাঁকে করোনার টিকা নিতে দেখা গেল। বেশ নিশ্চিন্তও বোধ করেন তিনি। টিকাগ্রহণের পর আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ধনকড় বলেন, ”করোনাযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ এখন ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের মুখাপেক্ষী। এই অবস্থায় আমি দেশের তৈরি ভ্যাকসিন গ্রহণ করে গর্বিত।” স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক-সহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত করোনা টিকা নেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ”আগে যাদের প্রয়োজন, তাঁরা নিক ভ্যাকসিন। সকলের প্রয়োজন মিটলে তবে আমি নেওয়ার কথা ভাবব।”