ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: চাইলেই ইচ্ছেমতো ভ্যাকসিনের (Vaccine) অ্যাম্পুল বের করা যাবে না ওয়াকিং কুলার থেকে। প্রতিটি অ্যাম্পুলের হিসেব দিতে হবে আইসিএমআরকে। ওয়াকিং কুলারের বাইরে পুলিশি প্রহরা তো থাকছেই। পাশাপাশি রয়েছে ডিজিটাল পাসওয়ার্ডও। সেই পাসওয়ার্ড দিলে রাজ্যের সবক’টি ওয়াকিং কুলার একসঙ্গে খুলবে আবার একসঙ্গে বন্ধ হবে। এক কথায় বলতে গেলে ভ্যাকসিন সংরক্ষণে কার্যত বজ্র আঁটুনির ব্যবস্থা হয়েছে রাজ্যে।
দমদম বিমানবন্দর থেকে কোভিশিল্ড এনে মজুত করা হয়েছে বাগবাজারে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে। এখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্যাকসিনের অ্যাম্পুল পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য ৩৪টি ওয়াকিং কুলার রয়েছে। কেন্দ্রের কাছ থেকে আরও ১৯টি কুলার পাওয়া গিয়েছে। আর এই সবক’টি কুলার স্টেশনকে কার্যত দুর্গ বানিয়ে ফেলেছে রাজ্য সরকার। কীরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Tight Security) থাকছে এই স্টেশনগুলিতে?
[আরও পড়ুন : অপেক্ষার অবসান, পুণে থেকে বিমানে রাজ্যে এল করোনা টিকা কোভিশিল্ড]
ওয়াকিং কুলার ঘিরে রাখছে পুলিশ। রাজ্যের সবক’টি ওয়াকিং কুলার একসঙ্গে খুলবে ও বন্ধ হবে। এর জন্য চাই ডিজিটাল পাসওয়ার্ড। যা সরাসরি স্বাস্থ্যভবন থেকে ইনপুট করা হবে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্তা সেই পাসওয়ার্ড জানবেন। একসঙ্গে চারজন কুলার স্টেশনে ঢুকতে পারবেন। তাও কয়েক মিনিটের জন্য। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ মিটিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে। নয়তো বন্ধ হয়ে যাবে কুলার স্টেশনটি ফলে ভিতরেই আটকে থাকতে হবে তাঁদের। কুলার স্টেশনের ভিতরে ও বাইরে থাকছে সিসিটিভি। সেই ফুটেজে সরাসরি স্বাস্থ্যভবন থেকে নজরদারি চলবে। ক’টি অ্যাম্পুল বের হল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব স্বাস্থ্যভবনকে দেবে জেলাগুলি। ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে সেই তথ্য চলে যাবে আইসিএমআর-এর কাছে।
স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা বলছেন, গত ১০০ বছরে এমন দুর্মূল্য টিকা বাজারে আসেনি। এই ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও ভুল-ত্রুটি হোক তা চান না তাঁরা। তাই কার্যত দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করা হচ্ছে কুলার স্টেশনগুলিতে। যেখানে সংরক্ষিত আছে করোনার ‘প্রাণভোমরা’।