shono
Advertisement

হাই কোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যের, ম্যাকাউটের উপাচার্য অপসারণের বিজ্ঞপ্তি খারিজ

সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।
Posted: 12:49 PM Aug 04, 2022Updated: 01:22 PM Aug 04, 2022

গোবিন্দ রায়: কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) ফের ধাক্কা রাজ্যের। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বা ম্যাকাউটের (MAKAUT) উপাচার্যকে রাতারাতি অপসারণের সিদ্ধান্ত খারিজ করল উচ্চ আদালত। রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সৈকত মৈত্রকে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট। তবে সূত্রের খবর, সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

গত ২৯ জুলাই আচমকাই নোটিস দেয় রাজ্য সরকার। জানানো হয়, মেয়াদ শেষের আগেই ম্যাকাউটের উপাচার্যের পদ থেকে অপসারণ করা হচ্ছে সৈকত মৈত্রকে। কী কারণে তাঁকে পদ থেকে সরানো হচ্ছে তা জানতে চেয়েছিলেন উপাচার্য। কিন্তু সদুত্তর মেলেনি। এরপরই রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সৈকতবাবু। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন অপসারণ? প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করেন তিনি। আদালতের রায়ে স্বস্তি পেলেন তিনি।

[আরও পড়ুন: দুঃসাহসিক ডাকাতি অশোক নগরে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেঁধে রেখে দু’টি সোনার দোকানে লুট]

সৈকত মৈত্রের আইনজীবীরা প্রশ্ন করেছিলেন, এভাবে রাতারাতি কি নোটিস দিয়ে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার নোটিস দেওয়া যায়? রাজ্যের তরফে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট, ২০০০-এর উল্লেখ করে জানানো হয় উপাচার্যের ২ বছরের বেশি মেয়াদ থাকে না। সেই নিয়ম মেনে সরানো হয়েছে বলে দাবি রাজ্যের। পালটা সৈকতবাবুর আইনজীবীরা বলেন, এরপর ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট, ২০১৭ এসেছে। যেখানে উপাচার্যদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাহলে সৈকত মৈত্রের ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম হল কেন? বুধবার সওয়াল জবাব শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখে আদালত।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৌশিক চন্দ উপাচার্যের আবেদনকে মান্যতা দেন। খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের নোটিস। তবে রাজ্য এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে।

[আরও পড়ুন: শ্রাবণের অর্ধেক পার, ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল, কবে ভারী বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement