নিরুফা খাতুন: পার্কিং নিয়ে সামান্য বচসা থেকে হাতাহাতি। নিমেষের মধ্যে সেটাই হয়ে উঠল প্রাণঘাতী! শনিবার বিকেলে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল ট্যাংরার মথুরবাবু লেন এলাকায়। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে তাঁরা কারা, কী তাঁদের পরিচয়, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি। এই ঘটনা মনে করিয়ে দিল মাস খানেক আগে ঘটে যাওয়া বিজয়গড়ের হত্যাকাণ্ড। সেখানেও স্রেফ পার্কিং নিয়ে ঝামেলার জেরে প্রাণ হারাতে হয়েছিল এক যুবককে। ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ট্যাংরায়।
শনিবার দুপুরে ঘটনার সূত্রপাত। জানা যাচ্ছে, মথুরবাবু লেনের বাসিন্দা বছর আটচল্লিশের অরুণ কুমার গুপ্তর একটি স্কুটার পার্ক করা নিয়ে বচসা শুরু হয় আরিয়ান সাউ, গৌরব সাউ নামে দুই ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁদের একটি গাড়ির পিছনে স্কুটার রাখা নিয়ে ঝগড়া বাঁধে। অরুণ গুপ্ত কেরোসিন তেল বিক্রি করেন। অভিযোগ, নিজের স্কুটারে করে তিনি কেরোসিন তেল এনেছিলেন।তা নিয়েই কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তাতে যোগ দেন সাউ পরিবারের আরও দুই সদস্য রাজেশ ও রবি। বচসা হাতাহাতিতে পৌঁছলে আচমকাই অরুণ গুপ্ত অসুস্থ বোধ করেন। সামনেই তাঁর বাড়ি। তড়িঘড়ি সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়ি ফিরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
অরুণ গুপ্তর পরিবারের অভিযোগ, বচসার সময়ে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই মৃত্যু হয়। পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজেশ ও রবিকে আটক করেছে পুলিশ। লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেই তদন্ত শুরু হবে। তবে ঠিক কী নিয়ে অরুণের সঙ্গে বাকিদের এত ঝামেলা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে যাদবপুরের বিজয়গড় এলাকায় এই পার্কিং বচসার জেরে খুন হতে হয়েছিল এক যুবককে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত অবশ্য গ্রেপ্তার হয়েছিল। শনিবার একই ছবি উঠে এল ট্যাংরায়।