ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ। এই ইস্যুতেই শুক্রবার সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রাজভবনের দিকে আঙুল তুলে তিনি জানালেন, 'ওই সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে ওই নির্যাতিতা মহিলাকে আরও বেশি অপমান করা হয়েছে।' পাশাপাশি এই ঘটনায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ারও পরামর্শ দিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি অভিযোগ সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা বৃহস্পতিবার খারিজ হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। পাশাপাশি এই ইস্যুতে পুলিশি তদন্ত যাতে না হয় তার জন্য রাজ্যপালের সাংবিধানিক অধিকার স্মরণ করিয়ে মুখ্যসচিবকে কড়া চিঠিও লিখেছেন তিনি। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্যকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ''ওনার এত ভয় কেন? যে সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হয়েছে তাতে ওই মহিলাকে আরও অপমান করা হয়েছে। শ্লীলতাহানির শিকার হওয়া এক মহিলা কাঁদতে কাঁদতে যাচ্ছে পুলিশের কাছে। সেই ভিডিও আপনি দেখাচ্ছেন? আপনার ক্ষমতা থাকলে আপনি রাজভবনের করিডরের ভিডিও দেখান। আপনার চেম্বার থেকে যখন বেরিয়েছে সেই ভিডিও দেখান। সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে আপনি ওই মহিলাকে অপমান করছেন কারণ আইনে আপনার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যায় না বলে।''
[আরও পড়ুন: শতাধিক মহিলাকে ধর্ষণ, জেলেই ভব লীলা সাঙ্গ সাধুর বেশে ‘শয়তান’ জলেবি বাবার]
এরপরই অভিষেক বলেন, ''আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে আমি পুরোটা সামনে আসব। উনি যেটা করেছেন সেটা 'নাটক'। উনি বলেছেন তৃণমূলের কাউকে রাজভবনে ঢুকতে দেব না। আরে বাংলার কেউ ওই ভবনে ঢুকবে না যতদিন আপনি ওই পদে আছেন। আপনি ওই পদের কলঙ্ক। এর আগেও জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল ছিলেন। তাঁর ভূমিকাও আমরা দেখেছি। কিন্তু চাকরি দেওয়ার নাম করে মেয়ের বয়সি একজনের শ্লীলতাহানি করছে? এমন ঘটনা কোথাও দেখিনি। আমি মনে করি রাজ্যের উচিৎ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া।"
[আরও পড়ুন: ‘বেশি প্রভুভক্তি দেখালে থানা জ্যাম করে দেব’, ফের দিলীপের নিশানায় পুলিশ]
শুধু তাই নয় কড়া সুরে রাজ্যপালকে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেন, "অন্যায় করে থাকলে আপনি স্বীকার করুন। ক্ষমা চাইলে কেউ ছোট বড় হয়ে যায় না। আপনার দ্বারা যদি ভুল হয়ে যায় ক্ষমা চান। এত ঔধত্য কেন? নিজের ঔধত্য কায়েম রাখতে সেই মেয়েটিকে আরও বেশি অপমান করা হচ্ছে।" জাতীয় মহিলা কমিশনকে তোপ দেগে বলেন, "এমনকী এই ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশন ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও মেয়েটির খোঁজটুকু নেয়নি। ওরা বিজেপি কমিশন অফ ওম্যান হয়েছে। সবটা স্বশাসিত সংস্থাকে বিজেপি নিজেদের করায়ত্ব করে রেখেছে। এই ঘটনা সেটা আরও একবার প্রমাণ করে।"