সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই ত্রিপাক্ষিক জিটিএ বৈঠক ডাকা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। ‘GTA’ শব্দের বদলে কেন্দ্রের ব্যবহার করা গোর্খাল্যান্ড শব্দটি নিয়ে আপত্তি উঠেছিল অধিকাংশ মহলে। বুধবার দিল্লিতে (Delhi) আয়োজিত হল সেই বৈঠক। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় কার্যত বেরোল না সমাধানও।
[আরও পড়ুন: ১০ কিমি যেতে কুড়ি হাজার টাকা দাবি, বিকল হওয়ায় মাঝপথেই মৃত্যু রোগীর, তদন্তে স্বাস্থ্যদপ্তর]
দু’দিন আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) জেলাশাসক, জিটিএ-র প্রধান সচিব ও জিএমএম সভাপতিকে চিঠি লিখে বুধবার ‘গোর্খাল্যান্ড’ সম্পর্কিত বৈঠকে ডাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি। কিন্তু রাজ্য সরকারকে লেখা চিঠিতে স্পষ্ট করে লেখা ছিল একটি শব্দ, ‘গোর্খাল্যান্ড’। ওই চিঠি আসার পরই সরব হয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ ওঠে, বিধানসভা ভোটের মুখে বাংলা ভাগ করতে চাইছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকারেরও বক্তব্য, গোর্খাল্যান্ড বলে চিঠিতে লিখে কী বোঝাতে চাইছে কেন্দ্র! তবে কি বাংলা ভাগ করতে চাইছে বিজেপি? এটা কখনওই হতে দেওয়া যাবে না। রাজ্যের ওই প্রতিক্রিয়ার পর নতুন করে চিঠি লিখে বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু বদল করে কেন্দ্র। তবে তা সত্ত্বেও এদিন রাজ্যের তরফ থেকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
[আরও পড়ুন: ‘ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে কোমরে দড়ি বেঁধে পেটাব’, ফের হুঁশিয়ারি সৌমিত্র খাঁর]
তবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে একমাত্র প্রতিনিধি লোপসাং লামা বৈঠকে উপস্থিত হয়ে জিটিএ খারিজ করে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনা শুরু করার দাবি জানান। একই সঙ্গে পাহাড়ের ১১ জনজাতির উপজাতি স্বীকৃতির দাবিও জানানো হয়েছে আলোচনায়। তবে এই বৈঠক নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি ও বিমলপন্থী মোর্চার জোটসঙ্গী জিএনএলএফ। এদিন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর দলের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, ‘‘এই বৈঠকের প্রহসন যেন কেন্দ্র আর না করে। এটা পাহাড়ের মানুষকে অপমান। অবিলম্বে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে আলোচনার পথ প্রশস্ত করা হোক।’’