শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়ার অঙ্কের বাইরে গিয়েই জলপাইগুড়ির দুর্গতদের ত্রাণ সাহায্যের ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার সন্ধেবেলা ক্ষতিগ্রস্ত বার্নিশ এলাকায় গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।বাড়িঘর তৈরির জন্য এই অর্থ প্রয়োজন। এর জন্য জেলে যেতে হলেও যাব।'' আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়েই প্রত্যেক পরিবারের অ্য়াকাউন্টে এই অর্থ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন অভিষেক। অথচ নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) নির্দেশ ছিল, কম ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি মেরামতির জন্য ৫ হাজার এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া যাবে সাহায্য বাবদ। সেই হিসেবের বাইরে গিয়েই ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ দেওয়া হচ্ছে।
গত ৩১ মার্চ কয়েক মুহূর্তের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ির বিস্তৃর্ণ এলাকা। রাতেই ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রাত জেগে উদ্ধার কাজে সাহায্য করেছিলেন। তিনি জানান, ঘরহারাদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। কিন্তু যেহেতু এই মুহূর্তে রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি জারি রয়েছে, তাই দুর্গতদের রাজ্য সরাসরি বাড়ি তৈরি করে দিতে পারে না। কমিশনের কাছে অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু সেই অনুমতি না দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানায়, রাজ্য আপাতত নতুন বাড়ি তৈরি করে দিতে পারবে না। তবে বাড়ি মেরামতির জন্য আর্থিক সাহায্য করতে পারে। অল্প ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ৫ হাজার এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ২০ হাজার টাকা ধার্য করে দিয়েছিল কমিশন।
[আরও পড়ুন: ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইজরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান, ভারতীয়দের কী বার্তা বিদেশমন্ত্রকের?]
সেই নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত ৬৩২ টি পরিবারের মধ্যে ৪৪০ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে ২০ হাজার টাকা। প্রশাসনের উদ্যোগে এই অর্থ পেলেও খুশি হননি ক্ষতিগ্রস্তরা। তাঁদের আক্ষেপ ছিল, ঘর তৈরির জন্য প্রয়োজন আরও টাকা। এই সামান্য টাকায় টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরও তৈরি করা সম্ভব নয়। আর শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করে আরও ৪০ হাজার টাকা সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করলেন অভিষেক। জানালেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই টাকা ঢুকবে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে। এর জন্য দরকারে জেলেও যেতে পারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি তনুশ্রী শঙ্করের মেয়ে শ্রীনন্দা, কী হয়েছে অভিনেত্রীর?]
গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ধূপগুড়ি গিয়েছিলেন এখানকার বাসিন্দা নারায়ণ রায়। বিধ্বংসী ঝড়ে তাঁর বাবা যোগেন রায়ের মৃত্যু হয়। নারায়ণ জানান, ''প্রধানমন্ত্রী দেখা করেননি।কিন্তু অভিষেক নিজে এসে দেখা করে গেলেন। ভালো লাগলো। ভরসা পেলাম।''
দেখুন ভিডিও: