সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির নবান্ন অভিযানের মিছিল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধৃত বলবিন্দরের সিংয়ের গ্রেপ্তারি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। শনিবারও টুইটে সেই একই ইস্যুতে ফের সুর চড়ালেন তিনি। বলবিন্দরের মুক্তির দাবি জানিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রসঙ্গে সরব রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
শনিবার আবারও প্রাক্তন সেনা জওয়ানদের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে। অবিলম্বে বলবিন্দরের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তাঁরা। এরপরই ফের টুইট করেন রাজ্যপাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশকে ট্যাগ করা ওই টুইটে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন ধনকড়। পাশাপাশি বলবিন্দর সিংয়ের (Balwinder Singh) মুক্তির দাবিও জানান। বাংলায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন আছে বলেও টুইটে উল্লেখ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বলবিন্দরের স্ত্রীকে সুবিচারের আশ্বাস, পোশাক উপহার, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ মনজিন্দরের]
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর সাত দফা দাবিতে নবান্ন (Nabanna) অভিযানের পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। সেই অনুযায়ী হাওড়া এবং কলকাতা মিলিয়ে মোট চারটি মিছিল বেরোয়। অভিযোগ, সেই মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এমনকী তাঁদের দলীয় কর্মীদের উপর ‘অমানবিক’ অত্যাচার করা হয় বলেও অভিযোগ। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, ইটবৃষ্টি পালটা লাঠিচার্জ, বিক্ষোভ সব মিলিয়ে প্রায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, হাওড়া ব্রিজ, হেস্টিংস। উত্তেজনার মাঝেই হাওড়া ময়দানের মিছিলে পিছু ধাওয়া করে বলবিন্দর সিংকে পাকড়াও করে পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। যদিও বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে বলবিন্দর যুব মোর্চা নেতার দেহরক্ষী। তাই তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকা খুবই স্বাভাবিক।
হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে পালটা দাবি করা হয়, ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত। রাজৌরি থেকে বাংলায় কার্যত বেআইনিভাবে নিয়ে আসা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রটি। তবে সেকথা বিজেপি নেতৃত্ব কিংবা বলবিন্দর কেউই মানতে নারাজ। এই ঘটনার পর আগেও বলবিন্দরের মুক্তির দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন তাঁর স্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সামনে অবস্থানের হুমকিও দেন তিনি। শুক্রবারই রাজ্য পুলিশের ডিজি বলবিন্দরের স্ত্রীকে সুবিচারের আশ্বাস দেন। বলবিন্দরের স্ত্রীকে পুজোয় পোশাকও উপহার দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেন শিরোমণি অকালি দলের নেতা ও দিল্লির শিখ গুরুদ্বার কমিটির প্রেসিডেন্ট মনজিন্দর সিং সিরসা।