দীপঙ্কর মণ্ডল: বিএসএফ–এর (BSF) ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। বিধানসভাতেও গৃহীত হয়েছে নিন্দাপ্রস্তাব। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রিপোর্ট চেয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষর কাছে। বৃহস্পতিবার ফের বিএসএফ প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দিলেন ধনকড়।
এবার তাঁর দাবি, প্রশাসনিক সভায় বিএসএফ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পেশ করা বক্তব্য অসাংবিধানিক। কেন্দ্র–রাজ্যের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এ প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্যপাল শুরু থেকেই বিজেপি মুখপত্রের মত কথা বলেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদি বিএসএফ–এর ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রকে যে চিঠি দিয়েছিলেন তা আগে দেখে মন্তব্য করুন।”
[আরও পড়ুন: Kolkata Municipal Election: কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী স্ত্রী, প্রচার করতে হিমালয় থেকে নেমে এলেন স্বামী]
গত অক্টোবরে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), অসম ও পাঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফ-এর এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বেড়ে ৫০ কিলোমিটার হয়েছে। গুজরাটে (Gujarat)বিএসএফ–এর ক্ষমতা বৃদ্ধির নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদি। ২০১২ সালের সেই চিঠির কথা ধনকড়কে মনে করিয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। উল্লেখ্য, পাঞ্জাব বিধানসভাতেও বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: স্বস্তিতে মিঠুন চক্রবর্তী, তাঁর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্যের মামলা খারিজ করল হাই কোর্ট]
রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনেও বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির প্রতিবাদে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিটি এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন রাজ্যপাল। চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, গঙ্গারামপুরে ৭ ডিসেম্বর প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সীমান্তে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করবে।