সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদহের কাউন্সিলর খুনের পর কেটে গিয়েছে ৬ দিন। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে মোট ৭ জন। তার মধ্যে রয়েছে দুই মূলচক্রী। তবে এখনও স্পষ্ট নয় খুনের কারণ। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার।
গত ২ জানুয়ারি, মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলা সরকার খুন হন। ওইদিন সকালে নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন কাউন্সিলর। পাইপ লাইন মোড়ে তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামেন। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে করে আসা চার দুষ্কৃতী কাউন্সিলরকে ধাওয়া করে। গাড়ি থেকে নেমেই কাউন্সিলর তাঁর কারখানার উলটো দিকে একটি দোকানে দৌড়ে যান। বাঁচার চেষ্টা করেন। দুষ্কৃতীরাও ওই দোকানের ভিতরে ঢুকে যায়। কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় কাউন্সিলরের।
এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জেলা পুলিশ সুপারকে 'অপদার্থ' বলে কটাক্ষ করেন। তবে বুধবার এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তদন্ত চলছে। একে একে ধরা পড়ছে অভিযুক্তরা। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার মোট ৭। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ আরও জানান, বাবলা ওরফে দুলাল সরকার খুনে মূল অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। তিনি মালদহ টাউন তৃণমূল সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি। অপর মূলচক্রী স্বপন শর্মা। ম্যারাথন জেরার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বপন শর্মা কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তার বিরুদ্ধে বোমাবাজি-সহ একাধিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার আরও জানান, দুলালকে খুনে ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়। নরেন্দ্রনাথ ও স্বপন সুপারি দিয়েছিল। খুনের আগে বেশ কয়েকদিন রেইকি করে দুষ্কৃতীরা। তারপর খুন করা হয় কাউন্সিলরকে। তবে ৬ দিন কেটে গেলেও, কী কারণে খুন হলেন কাউন্সিলর তা স্পষ্ট নয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের খোঁজ চলছে বলেই জানানো হয়েছে।