সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমশই অবনতি ঘটছে বলে বারবার সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। শুক্রবারও শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে সেকথা জানিয়েছেন তিনি। শনিবার ফের টুইট খোঁচা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের। এ প্রসঙ্গে দুপুর দু’টোর মধ্যে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে জবাব তলবও করেছেন তিনি।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে শনিবার ফের টুইট করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশকে ট্যাগ করেন। বর্তমানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। শনিবার দুপুর ২টোর মধ্যে মুখ্যসচিবের কাছ থেকে জবাব তলব করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘হাই কম্যান্ড চাইছে, বামেদের সঙ্গে জোট হবেই’, বিক্ষুব্ধদের সাফ বার্তা অধীর চৌধুরির]
এর আগে শুক্রবারও রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, “রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ‘অ্যালার্মিং’। রাজ্য জঙ্গি ঘাঁটিতে পরিণত হচ্ছে। পুলিশ ও প্রশাসন রাজনৈতিক দলের দাস হলে গণতন্ত্র ভেঙে পড়ে। প্রতিবার রাজ্যে যেভাবে নির্বাচন হয় এবার তা হবে না। কেন্দ্রকে রাজ্যের তরফে অপরাধ সংক্রান্ত কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। এমন আচরণের ফল আধিকারিকরা জানেন এবং তাঁদের ভুগতে হবে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়াতেই প্রত্যেকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল এখন নির্বাচনের সময় রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছেন।” নির্বাচন নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘রাজ্যে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে সেই মতো পরিকল্পনাও নেওয়া হবে।’’ তবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও কেন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন সেটা স্পষ্ট করে দেন। কেন্দ্র সরকারের অনুদান দেশের অন্যান্য রাজ্য পেলেও পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা ব্রাত্য কেন সেই প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল।
শিলিগুড়ির সাংবাদিক বৈঠকে আক্রমণের পর রাজ্য-রাজ্যপালের সম্পর্কে যে আরও চিড় ধরেছিল, তা বলাই বাহুল্য। শনিবার টুইটে যে সংঘাতের আগুনে ঘি পড়ল সে বিষয়টিও স্পষ্ট। এবার দেখার মুখ্যসচিব তাঁকে জবাব দেন কিনা। সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।