স্টাফ রিপোর্টার: ন্যাড়া কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হলেন বাংলার কোচ পঙ্কজ আনন্দ। চার বছর তাঁকে সাসপেন্ড করল রাজ্য হকি সংস্থা। তিনি রাজ্যের কোথাও চার বছর কোচিং করতে পারবেন না। শনিবার ছিল কাউন্সিল কমিটির সভা। সেখানে তিনজনের কমিটি গুরুবক্স সিং, গোপীনাথ ঘোষদের রিপোর্ট পড়ে শোনানো হয়। যেখানে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে কোচকে। সংস্থার সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দোষ করলে শাস্তি পেতেই হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে শাস্তি দিতে আর দ্বিধা করিনি।” প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, অনূর্ধ-১৮ ছেলেদের জাতীয় হকিতে তৃতীয় ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর বাংলার ছেলেদের ন্যাড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কোচ পঙ্কজ আনন্দ। শুরুতে পঙ্কজ ব্যাপারটা অস্বীকার করেছিলেন।
[সুনীলদের কোচ সের্জিও লোবেরো? তুঙ্গে জল্পনা]
জুনিয়র হকি দলের খেলোয়াড়দের সেই নজিরবিহীন শাস্তি দিয়ে চরম বিপাকে পড়ে যান পঙ্কজ আনন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশন। এদিকে, বিতর্কের মধ্যেই মুখ খোলেন তিনজন হকি খেলোয়াড়। তাঁরা বলেন, হারের পর কোচ তাদের অকথ্য গালিগালাজ করেন। এবং ফুটবলারদের মাথা ন্যাড়া করতে বাধ্য করেন। খেলোয়াড়রা জানান, কোচ বলেন যাঁরা মাথা ন্যাড়া করবে না তাঁরা দল থেকে বাদ যাবেই, তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও আনা হবে। তাই বাধ্য হয়েই মাথা কামায় খেলোয়াড়রা। এই ঘটনার পর রীতিমতো হুলস্থুল পড়ে যায় বাংলার ক্রীড়ামহলে। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি।
[বোপান্নাদের লড়াই সত্ত্বেও ডেভিস কাপে হার ভারতের]
এদিন সভায় ঠিক হয়েছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ঘরোয়া লিগের খেলা শুরু হবে। মেয়েদের লিগ শুরু হবে ১১ মার্চ। স্বপন বলছিলেন, “শীঘ্রই অনূর্ধ-১৪ অনাবাসিক ক্যাম্প শুরু করব। শুরুতে হকি সংস্থার মাঠেই শুরু হবে।”
The post হকি খেলোয়াড়দের মাথা ন্যাড়া করার নির্দেশ, চার বছর নির্বাসিত কোচ appeared first on Sangbad Pratidin.