রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির পাখির চোখ এবার বাংলা। আর তাই দলের ইস্তাহার প্রকাশেও চমক রাখতে চায় গেরুয়া শিবির। দলীয় সূত্রে খবর, কলকাতায় এসে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এই ইস্তাহার প্রকাশ করবেন। বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হতে পারে ২১ মার্চ। আর রাজ্য বিজেপির ইস্তাহার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি প্ৰকাশ করলে তা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন হবে। বাংলা দখল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, ইস্তাহার প্রকাশে জে পি নাড্ডার (J P Nadda) উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা থেকেই তা প্রমাণিত।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২১ মার্চ জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে ইস্তাহার প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, বুধবার নির্বাচনী ইস্তাহার (BJP Manifesto) প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইস্তাহার প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতির কথা ইস্তাহারে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তৃণমূলের এই ইস্তাহারকে কটাক্ষ করেছে রাজ্য বিজেপি। তৃণমূলের এই ইস্তাহারকে দিশাহীন বলে মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
[আরও পড়ুন : সাবধান! এবার মাস্ক ছাড়া মেট্রোয় চড়লেই কঠিন শাস্তির নিদান]
শমীকবাবু আরও বলেন, একশো দিনের কাজে প্রথম হওয়া, এটাই প্রমাণ করছে এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ কম। গত ১০ বছরে একটা শিল্প আসেনি। একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই আমলে মাত্র দুটি টেট পরীক্ষা হয়েছে, তাও নির্ভুল নয়। সিঙ্গুরে শিল্প নেই, কলকাতা, হাওড়ার বেলিলিয়াস রোড যাকে একসময় বাংলার শেফিল্ড বলা হত, সব শুনশান। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কারখানা গুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র। তাঁর প্রশ্ন, বিনিয়োগ না হলে শিল্প হবে কোথা থেকে? এদিন তিনি আরও বলেন, “একমাত্র বিজেপি সরকার যদি ক্ষমতায় আসে তাহলেই তৃণমূল নেত্রী ওঁদের ইস্তাহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা পূরণ হবে। কারণ সংঘাত নয়, কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় হলে তবেই এই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব।”