সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিএ (DA) আন্দোলনকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষি মারার অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে সে অভিযোগ খারিজ করল পুলিশ। উর্দিধারীদের উপরেই হামলা করা হয়েছে বলেই জানাল লালবাজার। এই ঘটনায় ধৃত ৪৪ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের আরও দাবি, হেয়ার স্ট্রিট থানার অ্যাডিশনাল ওসি, একজন মহিলা পুলিশ কনস্টেবল-সহ মোট চারজন পুলিশকর্মী ডিএ আন্দোলনকারীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বুধবার রাজ্য সরকারি কর্মচারী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা পথে নামেন। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সরকারি কর্মীরা। তবে তাঁদের মিছিল আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ধস্তাধস্তিও শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান সরকারি কর্মীরা। কার্যত দৌড়ে বিধানসভার সামনে পৌঁছন তাঁরা। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। আরও একবার পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, টেনেহিঁচড়ে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। আন্দোলনকারীদের পুলিশ ঘুষি মারে বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মানিকের মামলায় অনুপস্থিত CBI আইনজীবী! ফের ‘অসন্তুষ্ট’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
তবে পুলিশের তরফে সে অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। পরিবর্তে পুলিশের উপরেই ডিএ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। তাঁদের হামলায় চারজন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন বলেই দাবি। হেয়ার স্ট্রিট থানার অ্যাডিশনাল ওসি, মহিলা কনস্টেবল-সহ চারজন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে, এই ঘটনায় ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ প্রতিহত করতে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত মারমুখী হয়ে ওঠার অভিযোগ ওঠে। এক মহিলা চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ইভা থাপা নামে এক মহিলা কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। সে অভিযোগের ভিত্তিতে চলছে বিচারবিভাগীয় তদন্ত। সেই অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতে এবার ওঠে ঘুষি মারার অভিযোগ। সেই অভিযোগ নিয়ে শোরগোল হওয়ার আগেই খারিজ করল পুলিশ।