কিংশুক প্রামাণিক: বিজেপির হর্সট্রেডিংয়ের ছক দেশে একমাত্র রাজ্য বাংলা ফাঁস করে দিয়েছে। কিন্তু যাদের বিধায়করা বিক্রি হয়ে গেল, সেই কংগ্রেসের (Congress) কোনও হুঁশ নেই। তারা নীরব। বিপুল টাকা সমেত ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গ্রেপ্তার নিয়ে দলের সাংসদদের চা-চক্রে এভাবেই মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিন কয়েক আগে পাঁচলায় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়িতে ৪৯ লক্ষ টাকা পাওয়া যাওয়ায় ওই তিন বিধায়ককে গ্রেপ্তার করে হাওড়া জেলা পুলিশ। তদন্ত করে সিআইডি (CID) জানতে পারে ঝাড়খণ্ড সরকার ভাঙতে ওই টাকা বিধায়কদের দেওয়া হয়েছিল। যত তদন্ত এগোচ্ছে ক্রমশ বড় চক্রান্তের পর্দা ফাঁস হচ্ছে। বিজেপি (BJP) রীতিমতো বেকায়দায়। ঠিক সেই সময় মমতা সাংসদদের বললেন বিজেপির স্বরূপ নিয়ে আরও প্রচার চালাতে হবে। কংগ্রেস যে বিজেপির বিরুদ্ধে সঠিক লড়তে পারে না এই ঘটনায় স্পষ্ট, তাও বলতে হবে।
[আরও পড়ুন: নকশা বোনায় অসামান্য কৃতিত্ব, জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছে বাংলার ‘তন্তুজ’, প্রাপক আরও ৭ তাঁতশিল্পী]
বস্তুত, বাংলার সরকারও ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে বলে ইতিপূর্বে অভিযোগ করেছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। এবার দিল্লিতে দলীয় বৈঠকে ঝাড়খণ্ড কাণ্ড নিয়ে সরব হলেন বিজেপির হর্সট্রেডিংয়ের বিরুদ্ধে। বৈঠকে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, তিনিও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হতে বলেন।
[আরও পড়ুন: ছাত্র বিক্ষোভ, কাজে ‘অসুবিধা’, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অব্যাহতি চাইলেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য]
এদিকে আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটেয় সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মুখোমুখি হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার বকেয়া তুলে প্রতিকার চাইবেন। এরপর তিনি যাবেন রাষ্ট্রপতির দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। রাজ্যের বকেয়া ৯৭ হাজার কোটি। সেই দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর। একই সঙ্গে মমতা চাইবেন ১০০ দিনের কাজের সাত মাসের বকেয়া বেতন, বাংলা আবাস যোজনার বন্ধ অর্থ। রীতিমতো কাগজপত্র তৈরি করে তিনি যাচ্ছেন।