সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং শুদ্ধতা নষ্টের জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। নির্বাচনী নথি গোপনে নয়া আইন নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কংগ্রেস সভাপতি বলছেন, এই নয়া নিয়মেই স্পষ্ট নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে না।
গতকালই ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থায় বড়সড় বদল এনে নয়া আইন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ১৯৬১ সালের নির্বাচনী বিধির ৯৩(২) ধারা অনুযায়ী, এতদিন ভোট সংক্রান্ত সব নথি জনসমক্ষে আনতে বাধ্য থাকত নির্বাচন কমিশন। সেই আইন বদলে শনিবার কেন্দ্র জানায়, শুধুমাত্র নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ম সংক্রান্ত নথিগুলিই এবার থেকে প্রকাশ্যে আনা হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সব নথি আর প্রকাশ্যে আনা হবে না। আদালতও চাইলে নির্বাচন কমিশনকে ভোট সংক্রান্ত সব নথি প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিতে পারবে না।
কেন এই সিদ্ধান্ত? খাড়গের দাবি, কেন্দ্র তথা নির্বাচন কমিশন ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্বতা চাইছে না। সেকারণেই ভোট সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ্যে আনতে আপত্তি। তিনি বলছেন, "ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে যে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে মোদি সরকারের এই সংশোধনী সেটার আরও একটা প্রমাণ। আসলে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতেই চায় না মোদি সরকার। এটা সরাসরি সংবিধান এবং গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ। সংবিধান বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা আমরা করব।" এর আগে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রেও আইনে বদল এনেছিল কেন্দ্র। অর্ডিন্যান্স এনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল প্রধান বিচারপতিকে। সেই প্রসঙ্গও এদিন মনে করালেন কংগ্রেস সভাপতি।
এই আইন কেন আনা হল, বিজেপির মুখে এখনও কুলুপ। নির্বাচন কমিশনের সূত্র অবশ্য বলছে, হরিয়ানা নির্বাচনের পর ভোট তথ্য চেয়ে হাজার হাজার আর্জি জমা পড়ছে। সব আর্জির উত্তর দেওয়া পদ্ধতিগতভাবেও ভীষণ কঠিন। সেকারণেই নিয়ম বদল।