সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বাবা দিনমজুর। অভাবের সঙ্গে প্রতিদিনের লড়াই। অ্যাসবেস্টস ছাউনি দেওয়া ঘরে থেকেও স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেনি সে। মাত্র ৮ বছর বয়স থেকেই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরামর্শে যোগাসন অভ্যাস করা শুরু করে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সেই হারা মানা জেদেই স্বপ্নপূরণ হল তার। ন্যাশনাল যোগ অলিম্পিয়াডে অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে দলগত বিভাগে সোনা জিতল বাংলার ছেলেরা। সেই দলে আছে দিনমজুরের ছেলে। তার নাম সুপ্রসাদ মিস্ত্রী।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Day)। এদিনই সুখবর আনল রায়দিঘির (Raidighi) কিশোর। কর্নাটকের মাইসুরুতে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল যোগ অলিম্পিয়াডে দলগত সাফল্য এসেছে বাংলার ঝুলিতে। দলগত ভাবে সুপ্রসাদের সাফল্যে খুশির জোয়ারে ভাসছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি।
[আরও পড়ুন: নজরে স্কুলপড়ুয়াদের সর্বাধিক সুরক্ষা, বাস-পুলকারের জন্য নতুন গাইডলাইন পরিবহণ দপ্তরের]
দিঘিরপাড় করালীচক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সুপ্রসাদ বিজয়ী দলের সদস্য হওয়ায় গর্বিত গ্রামের মানুষ। ছোট থেকে অভাবের মধ্যে বড় হওয়া সুপ্রসাদ, এবার স্বপ্নের সোপানে পা রাখল। ৮ বছর বয়সে প্রথম যোগাসন অভ্যাস করা শুরু করে সুপ্রসাদ। পরে নিশ্চিন্তপুরের মাতঙ্গিনী যোগাসন কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নেয়।
বিদ্যালয়ের হয়ে আগেই রাজ্য যোগাসন প্রতিযোগিতায় নজর কেড়েছিল সে। এবার জাতীয় যোগাসন প্রতিযোগিতায় দলগত সাফল্য। তার জয়গাথায় খুশি সুপ্রসাদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সহপাঠীরা। জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করায় গর্বিত সুপ্রসাদের বাবা রামপ্রসাদ মিস্ত্রিও। ছেলে আরও সাফল্য লাভ করুক সেটাই এখন মনেপ্রাণে চাইছেন অভাবী বাবা। তবে কীভাবে ছেলেকে আরও বড় জায়গায় নিয়ে যাবেন সেই চিন্তাই এখন কুরে কুরে খাচ্ছে তাঁকে।