কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: নদিয়ার (Nadia) তৃণমূল নেতা খুনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে পুলিশের জালে এক। শনিবার ধৃতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সন্দেহভাজনদের খোঁজে শুক্রবার রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশি চলাকালীন নদিয়ার থানারপাড়া এলাকা থেকে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করা হয়।
আটক করে ইসরাফিল শেখ ও সাহেব শেখ নামে দুই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। দফায়-দফায় তাদের জেরা করা হয়। তারপর ইসরাফিল শেখকে গ্রেপ্তার করে শনিবার বহরমপুর আদালতে পাঠায় নওদা থানার পুলিশ। অন্যজনকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: শান্তিকুঞ্জে ‘চায়ে পে চর্চা’? অধিকারী পরিবারে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন অভিষেক]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নওদা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে খুন হন করিমপুর ২ নম্বর অঞ্চলের সংখ্যালঘু সেলের তৃণমূল সভাপতি মতিরুল ইসলাম। তাঁর স্ত্রী নারায়নপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান। আমতলা মিশনে থাকে দম্পতির ছেলে। তাঁকে দেখতে মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন মতিরুল। বৃহস্পতিবার সন্ধে সেখান থেকে ফিরছিলেন। অভিযোগ, টিয়াকাটা ফেরিঘাটে ওই তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মতিরুল। ওই খুনের ঘটনায় দশ জনের নামে অভিযোগ জমা পড়ে। তদন্ত নেমে একজনকে গ্রেপ্তার করল নওদা থানার পুলিশ।
ইতিমধ্যেই খুনের নেপথ্যে উঠে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। অভিযোগ, নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক ঘনিষ্ঠ পিঙ্কু মণ্ডল, রাজ কুমার ও মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহেরের ভাগ্নের যোগ রয়েছে গোটা ঘটনায়। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহেরের ভাগ্নে-সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী জানান, মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের উপর হাবিবের প্রভাব রয়েছে। ফলে তাঁরা তদন্ত করলে ন্যায় বিচার মিলবে না। সেই কারণে সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করে একজনকে গ্রেপ্তার করল।