সুব্রত বিশ্বাস ও সুমিত বিশ্বাস: পঞ্চম দিনে পড়ল কুড়মিদের আন্দোলন (Kurmi Protest)। প্রশাসনের বহু চেষ্টার পরও নিজেদের অবস্থানে অনড় আন্দোলনকারীরা। ফলে রবিবারও ব্যাহত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় ট্রেন চলাচল।
রেল সূত্রে খবর, এদিন অন্তত দূরপাল্লার ৯৫টি-সহ মোট ১২০টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। গত চারদিনের মতো এদিনও চরম ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। আন্দোলন প্রত্যাহার না হলে আগামিকালও এই হয়রানি চলবে বলে মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ। আর তাই ইতিমধ্যে সোমবারের দূরপাল্লার ৯৩টি ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। তাঁদের সাফ দাবি, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তাই আন্দোলন তুলতে রাজ্য পদক্ষেপ করলে তবেই ট্রেন চালাবে রেল। সূত্রের খবর, আন্দোলনের জেরে রেলের ক্ষয়ক্ষতি জানিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। আন্দোলন তোলার ব্যবস্থা করতে আরজিও জানিয়েছে তারা।
[আরও পড়ুন: শক্তিগড় শুটআউট: কলিং অ্যাপ ব্যবহার আততায়ীদের! ফোন ট্র্যাক করেও মিলছে না খুনির হদিশ]
পঞ্চম দিন সকালেও আন্দোলন তোলার চেষ্টা করে রাজ্য প্রশাসন। পুরুলিয়া জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কনফারেন্স হলে এদিন সকাল ছ’টা নাগাদ প্রশাসনের সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনা হয় আন্দোলনকারীদের। ওই আলোচনায় পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়, আগে অবরোধ তুলতে হবে তারপর রাজ্য বৈঠকে বসবে। লাগাতার আন্দোলনের জেরে বিপর্যস্ত জঙ্গলমহলের জনজীবন। তাই অবরোধ তুলতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে প্রশাসনকে। এদিনের সকালের আলোচনায় খেমাশুলিতে আন্দোলনরত নেতৃত্বরা হাজির ছিলেন। ওই আলোচনা শেষে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে কুড়মিরা। এরপর সাফ জানিয়ে দেন, আন্দোলন চলবে। সরকারের চাপের কাছে মাথা নোয়াবে না তারা।
উলটে আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কুড়মিদের সংগঠন। রবিবার চাষ মোড়-তুলিন রাজ্য সড়কে দুপুর একটা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা। ওই রাজ্য সড়কের কোটশিলায় সড়ক অবরোধের পাশাপাশি লাগোয়া কোটশিলা স্টেশনেও
অবরোধ শুরু করতে তোড়জোড় শুরু করেছে কুড়মিরা। সবমিলিয়ে ক্রমশ জটিল হচ্ছে কুড়মি আন্দোলনের পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: অন্য নারীতে মজেছে স্বামী! দাম্পত্য টানাপোড়েনে সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা বধূর]