অর্ণব দাস, বারাসত: জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের আরও দুজনকে ধরল বারাসত পুলিশ। অভিযোগ, সাইবার ক্য়াফের আড়ালে চলত জাল আধার কার্ড তৈরি। দুজনই ধৃত 'ল ক্লার্ক' সমীর দাসের শাগরেদ বলে খবর। জাল নথি তৈরিতে কার, কী ভূমিকা চলছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি জাল পাসপোর্ট চক্রে ধৃতরা কেউ যুক্ত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জাল সার্টিফিকেটের তদন্ত নেমে বুধবার বারাসত থেকে 'ল ক্লার্ক' সমীর দাসকে গ্রেপ্তার করে বারাসত থানার পুলিশ। তাঁকে জেরা করে চক্রের আরও কয়েকজনের নাম জানতে পারে তদন্তকারীরা। যাদের মধ্যে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত কৌশিক মণ্ডল ও চন্দন চক্রবর্তী নামে ওই দুই ব্যক্তিকে বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে। দুজনই বারাসতের বাসিন্দা।
আরও কয়েকজন আছে যারা জাল সার্টিফিকেট তৈরি করার ক্ষেত্রে এই সমীর দাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল। জাল নথি তৈরিতে প্রত্যেকের কী ভূমিকা ছিল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এ প্রসঙ্গে বারাসত পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমিত হালদার জানান, "চাঁদুর মোড়ে একটা দোকান ভাড়া নিয়ে সাইবার ক্যাফে চালাত খেঁজুরতলার বাসিন্দা কৌশিক মণ্ডল। সকালে শুনলাম ওকে গ্রেপ্তার করেছে। সাইবার ক্যাফের আড়ালে জাল নথি তৈরি করত সে। যারা এধরনের কাজ করছে, তাদের কড়া শাস্তি দেওয়া উচিত।" তাঁর আরও সংযোজন, "এখন তো সাইবার ক্যাফের কথা শুনলে আতঙ্ক হচ্ছে। আমজনতা ডিজিটাল নথি তৈরি, ব্যাঙ্কের কাজ করতে সাইবার ক্যাফে যায়। কিন্তু সেখানে এসব কাজ হলে তারা কোথায় যাবে!"