সুরজিৎ, ডায়মন্ড হারবার: ২১ জুলাইয়ের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। দু’বছর পর ধর্মতলার মঞ্চ থেকে কর্মীদের বার্তা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই বার্তা সামনে থেকে শুনতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে কাকদ্বীপ থেকে পায়ে হেঁটে ধর্মতলায় (Dharmatala) আসছেন দুই তৃণমূল কর্মী। একজন আবার আসছেন সুসজ্জিত ভ্যান নিয়ে।
সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ কাকদ্বীপের ৫ নম্বর হাট থেকে যাত্রা শুরু করেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপের মধুসুদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌষ্টিবাড়ি এলাকার তিন তৃণমূলকর্মী। পায়ে হেঁটে ধর্মতলার শহিদ সমাবেশে যাচ্ছেন পেশায় শ্রমিক শেখ জুলফিকার আলি ও শেখ শাহজাহান। তাঁদের সঙ্গে ভ্যান নিয়ে চলেছেন ভ্যানচালক শেখ মতিউর রহমানও। নিজের ভ্যানটিকে তিনি সাজিয়েও তুলেছেন তৃণমূলের পতাকায়। তিনজনেরই গলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, সর্বাঙ্গে তৃণমূলের পতাকা, হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটআউট। এভাবেই তাঁরা চলেছেন ধর্মতলার উদ্দেশ্যে।
[আরও পড়়ুন: সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা! বিবাহ বিচ্ছেদ আটকাতে স্ত্রীকে ‘অপহরণ’ স্বামীর]
ওই তৃণমূল কর্মীদের একটাই আশা, মঞ্চের সামনে বসে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সামনে থেকে একবার দেখবেন। অপূর্ণ ইচ্ছাকে বুকে আঁকড়ে নিজেদের গন্তব্যের দিকে চলেছেন তাঁরা। পথে তাঁদের সংবর্ধনা জানালেন ডায়মন্ড হারবার টাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন তরফদার। তিন তৃণমূল কর্মীকে টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় জল, বিস্কুট, চিঁড়েভাজা, কলা ও কেক।
দীর্ঘ পথের মাঝে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে কাপে চুমুক দিচ্ছেন তাঁরা। স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথাবার্তায় বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাগাতার লড়াই থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নমুখী কাজের হাজারও প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে তাঁদের যাত্রাপথে তৃণমূলের প্রচার করতে করতেই এগিয়ে চলেছেন তাঁরা।