গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: ভয়াবহ দুর্ঘটনা বসিরহাটে (Basirhat)। ইটভাটার চিমনি ভেঙে মৃত ৩। গুরুতর জখম অন্তত ৩৫। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় পাঠানো হয়েছে ২ আহতকে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও অনেকের দেহ আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার ধলতিথা গ্রামে। বুধবার সন্ধ্যাবেলায় সেখানকার একটি ইটভাটায় ফায়ারিংয়ের কাজ করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। দক্ষ কারিগররা চিমনিতে আগুন দিতেই হুড়মুড় করে সেটি ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েন বহু শ্রমিক। গুরুতর জখম হন সকলেই। দ্রুত গতিতে শুরু হয় উদ্ধারকাজ।
[আরও পড়ুন: ক্ষিপ্ত হনুমানের ধাক্কায় মৃত্যু বধূর, নদিয়ায় আতঙ্ক]
চাপা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় হাফিজুল মন্ডল নামে ৩৫ বছর বয়সি শ্রমিকের। ধ্বংস্তূপ থেকে উদ্ধার হয় জেঠুরাম ও রাকেশ কুমার নামে দুই শ্রমিকের মৃতদেহ। তারা দুজনেই উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের বাসিন্দা। উদ্ধারকারী স্থানীয় বাসিন্দারা ২০ জনকে বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলেই খবর।
তবে উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, ধ্বংস্তূপের নিচে এখনও আটকে রয়েছেন অনেকে। এখনও স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বসিরহাট থানার পুলিশ।ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশ সুপার জবি থমাস ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়।