জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রহস্যজনকভাবে আচমকাই উধাও পাড়ার ৮-১০টি কুকুর। কিছুক্ষণ পর পাড়ারই এক চাষির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পাঁচটি কুকুরের দেহ। এই ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় বনগাঁর গঙ্গানন্দপুর এলাকায়। উত্তেজিত বাসিন্দারা খবর দেয় পুলিশে। শেষ অবধি সারমেয় খুনের অভিযোগে এক কৃষককে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তর দাবি, ওই চাষির ফুলের খেত নষ্ট করে দিচ্ছিল কুকুরগুলি। তাই তাদের কীটনাশক খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর।
বনগাঁ Bangaon) এলাকার গোপালনগর থানার পাঁচপোতা গান্ধীর মোড় গ্রামের ঘটনা। সোমবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিল এলাকার আট-দশটি কুকুর। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। খোঁজ খবর করতে দেখা যায় কৃষক জাহাঙ্গীর মণ্ডলের বাড়িতে পাঁচটি কুকুরের দেহ পড়ে রয়েছে। এরপরই পুলিশকে খবর দেয় তারা। পরে চাষিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: শোকের আবহেই ভোট জাপানে, বিপুল ভোটে জয়ী প্রয়াত শিনজো আবের দল এলডিপি]
স্থানীয় সূত্রে খবর, জাহাঙ্গীর রজনীগন্ধা ফুল চাষ করতেন। কিন্তু এলাকার কুকুরগুলি সেই খেত নষ্ট করে দিচ্ছিল। কুকুরগুলিকে ওই খেত থেকে দূরে রাখতে একাধি ফন্দি ফিকির করেছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জাহাঙ্গীর কুকুরগুলিকে কীটনাশক খাইয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে এ বিষয় পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই গোপাল নগর এলাকায় আরও ১৪টি কুকুরকে কীটনাশক খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। গোপালনগরের (Gopalnagar) ফুলবাড়ি এলাকায় পরপর সাতটি কুকুরকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এছাড়াও অন্য এলাকা থেকে আরও ৭ টি কুকুরের দেহ পাওয়া যায়। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভও হয় ওই এলাকায়। এই ঘটনার এক মাস কাটার আগে ফের ৫ সারমেয়কে নৃশংসভাবে খুন করা হল।