চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: খোদ শুভেন্দু অধিকারীর এলাকা নন্দীগ্রামে বিজেপিতে ভাঙন। গেরুয়া শিবির ত্যাগ করলেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। বিজেপির কার্যকলাপে তাঁরা ক্ষুব্ধ। সেই কারণেই এই দলবদল বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
রবিবার সকালে এই দলবদলের কথা সামনে এসেছে। নন্দীগ্রামের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপি নেতা অশোক করণ, নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস দাস সহ প্রায় ৫০ জন এদিন দল ছাড়লেন বলে খবর। বিজেপি ছেড়ে আসা স্থানীয় নেতৃত্ব তাঁদের ক্ষোভের কথাও উগড়ে দিয়েছেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারী। গত চার বছর ধরে নন্দীগ্রামে একাধিক রাজনৈতিক বিবাদ, সংঘর্ষ হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক মাসের মধ্যেই দুই তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কর্মী মহাদেব বিষয়ীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর দোকান থেকেই। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর পঞ্চায়েত এলাকার বৃন্দাবন চকের বাসিন্দা মহাদেব তৃণমূলের বুথ কর্মী ছিলেন। দুটি খুনের ঘটনাতেই বিজেপির দিকে অভিযোগ উঠেছে।
এইসব কিছু নিয়েই ক্ষুব্ধ এই দলত্যাগীরা। গত চার বছর ধরে নন্দীগ্রামে বিজেপির কার্যকলাপ সঠিক পথে চলছে না। ক্রমশ রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে রয়েছে। সেখানেও দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসছে। দলের উপরতলার নেতাদের এই বিষয়ে একাধিক বার জানানো হয়েছে। তারপরেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সুরাহার বদলে দুর্নীতির ঘটনা চলতেই থাকে। সেসব কারণ থেকেই একপ্রকার বাধ্য হয়ে এই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত। এই কথাই তাঁরা দাবি করেছেন। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা।