জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: একের পর এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ছে বনগাঁ-বাগদা এলাকা থেকে। জঙ্গিদের উপস্থিতিও ধরা পড়েছে ইতিমধ্যেই। এসবের মধ্যেই আরও একটি বিষয় বিচলিত করছে পুলিশ-প্রশাসনকে। প্রেস লেখা গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে পাচার ও অনুপ্রবেশকারীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে! সেই আশঙ্কার কথা উঠে আসছে। অভিযোগ, সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এসে পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে প্রেস লেখা গাড়ি ব্যবহার করেন।
দিন কয়েক আগে গাইঘাটা থানা এলাকায় পুলিশ নাকাচেকিংয়ের সময় একটি প্রেস লেখা গাড়ি আটক করে। শুধু প্রেস নয়, অ্যাডভোকেটের স্টিকারও মারা ছিল গাড়ির পিছনের কাচে। তল্লাশি চালাতে সেই গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ কাফসিরাপ উদ্ধার হয়। গাড়িতে থাকা ঝাড়খণ্ডের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই মাদক বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বনগাঁ মহকুমার বেশিরভাগ অংশজুড়ে বাংলাদেশ সীমান্ত| অভিযোগ, সীমান্তের বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটার বিভিন্ন সড়ক অলিগলি দিয়ে বহু বাইক এবং চার চাকার প্রেস লেখা গাড়ি ঘুরে বেড়ায়। বহু চোরাচালানকারী এবং পাচারকারীরা পুলিশের চোখ এড়াতে প্রেস লেখা গাড়ি ব্যবহার করে। প্রশাসনের একটা অংশ মনে করছে, এই মুহূর্তে প্রেস লেখা গাড়ি ব্যবহারের প্রবণতা বাড়াতে পারেন অনুপ্রবেশকারীরা।
শুধু অনুপ্রবেশকারীরাই নয়, সোনা পাচারকারীরাও এই পন্থা নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পাচার বাড়াতে পারে। বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল শেঠও বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রেসের সঙ্গে যুক্ত না থাকা গাড়িগুলিকে দ্রুত চিহ্নিত করা দরকার। কেন প্রেস লেখা, তাও জানার প্রয়োজন রয়েছে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিরা সাধারণত প্রেস লেখা গাড়ি ব্যবহার করেন। কিন্তু কিছু অসাধুচক্র সেই সুযোগকেই কাজে চালাচ্ছে। বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন, অস্থির রাজনৈতিক কারণে জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
বনগাঁ থানার পুলিশকেও এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে। এই বিষয়ে অভিযান শুরু হবে বলেও জানাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা।