সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মন্দারমণির পর বকখালি (Bakkhali)। ফের সমুদ্র প্রাণ কাড়ল পর্যটকের। শিক্ষকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি। সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু হল দশ বছরের বালকের। রবিবার দুপুরে সমুদ্রে তলিয়ে যায় পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্র। ঠিক পরেরদিন অর্থাৎ সোমবার সকালে ওই ছাত্রের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির উত্তর কুসুমের একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র শাকিব হোসেন লস্কর। রবিবার ২৩ জন ছাত্রকে নিয়ে বকখালিতে পিকনিক করতে যান এক শিক্ষক ও কয়েকজন অভিভাবক। সেই দলেই ছিল শাকিব। যদিও শাকিবের কোনও অভিভাবক বকখালিতে যাননি। বকখালির সৈকতে ঘোরাফেরা করছিল ছাত্র, অভিভাবক এবং ওই মাদ্রাসার শিক্ষক। সকলের চোখের আড়ালে শাকিব ও তার এক বন্ধু সমুদ্রের কাছাকাছি চলে যায়। ঢেউয়ের তীব্রতায় সমুদ্রে তলিয়ে যায় শাকিব। ওই বালকের বন্ধুই অন্যান্যদের খবর দেয়। তারপরই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। তবে রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের উদ্ধার উঠতি মডেলের ঝুলন্ত দেহ, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জের?]
সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তলিয়ে যাওয়া বালকের দেহ ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার ফ্রেজার সাহেবের বাংলোর কাছে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়। এসডিপিও দীপাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানান, রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে বালক তলিয়ে যায়। তবে পুলিশকে প্রায় তিন-চার ঘণ্টা পর বিষয়টি জানানো হয়। তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সন্ধে পর্যন্ত স্পিডবোট নিয়ে বালকের খোঁজে তল্লাশি চালায়। তবে দেহ উদ্ধার করা যায়নি। সোমবার সকালে ওই বালকের দেহ ফ্রেজার সাহেবের বাংলোর কাছে ভেসে আসে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
মৃত শিশুর পরিবারের লোকজনও জানিয়েছেন, বিকেল চারটের পর তাঁরা বালকের তলিয়ে যাওয়ার খবর পান। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বকখালিতে চলে আসেন। নিজেরাও বেশ কিছুক্ষণ সমুদ্রের পাড় ধরে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। তবে বালকের খোঁজ পাওয়া যায়নি সেই সময়। সোমবার সকালে মৃত সন্তানকে কোলে নিয়ে শাকিবের পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।