ধীমান রায়, কাটোয়া: কিছুক্ষণের জন্য ছাড়া পেয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল পোষ্য। এটাই ছিল অপরাধ। সেই অপরাধের ‘শাস্তি’ হাঁসুয়ার কোপ। বর্তমানে মরনাপন্ন অবস্থা সারমেয়টির। জখম সারমেয়টিকে কোলে করে বিচার চাইতে থানায় সারমেয়র মালিক। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার মাধপুর গ্রামের ঘটনা।
ভাতারের মাধপুরের বাসিন্দা পেশায় শ্রমিক আনারুল্লা শেখ। এফসিআইয়ের একটি গোডাউনে শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। মাসপাঁচেক আগে একটি সারমেয় শাবককে বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। লালনপালন করেন। সারমেয়টি অধিকাংশ সময়ই বাড়ির মধ্যে বাঁধা থাকে। মাঝেমধ্যে ছেড়ে রাখা হয়। আনারুল্লা জানান, রবিবার বিকেলে তিনি সারমেয়টি একবার ছেড়ে দেন। তারপর আনারুল্লা নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে সারমেয়টি প্রতিবেশী হ্যাঙাই মল্লিকের বাড়ির উঠানে চলে যায়।
[আরও পড়ুন: বিজেপি করার ‘অপরাধে’ গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি, মারধরের অভিযোগ, এলাকাছাড়া পরিবার]
আনারুল্লা বলেন,”এরপর হঠাৎ আমার কুকুরের চিৎকার শুনতে পাই। বাইরে এসে দেখি হ্যাঙাই মল্লিকের বাড়ি থেকে কুকুরটি রক্তাক্ত অবস্থায় ছুটে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে। তারপর আমাদের বাড়ির দরজার সামনে লুটিয়ে পড়ে কাতরাতে শুরু করে। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল।” এরপর আনারুল্লা দেখতে পান উঠানে বসে বাঁশের ঝুড়ি বুনছিল হ্যাঙাই। হাতে ছিল একটি ধারালো হাঁসুয়া। অভিযোগ, সেই হাঁসুয়া দিয়েই কোপ দেওয়া হয়েছে সারমেয়টিকে।
আনারুল্লা তড়িঘড়ি স্থানীয় এক পশু চিকিৎসককে ডেকে আনেন। কুকুরটির চিকিৎসা করানো হয়। এরপর সোমবার জখম সারমেয়কে ভাতার রাজ্য প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। তারপর থানায় যান। আনারুল্লা শেখ বলেন, “এমন নৃশংসভাবে নিরীহ কুকুরটিকে কোপানো হয়েছে যে ২৭ টি সেলাই দিতে হয়েছে। সমাজ কি শুধুমাত্র মানুষ জাতির জন্য? এই অবলা জীবদের প্রয়োজন নেই? আমি চাই এর বিচার হোক।”