অর্ণব দাস, বারাসত: ফের পুলিশের জালে ধরা পড়ল ভুয়ো সিবিআই (CBI) আধিকারিক। আইনজীবী এবং তাঁর স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত কৃশানু মণ্ডল। বাগুইআটির রঘুনাথপুরের বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে। তবে তাকে নোয়াপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক ওই দম্পতির কাছ থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।
২০১৬ সালের একটি জমি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়ে শিয়ালদহ আদালতের আইনজীবী (Lawyer) বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যান কৃশানু মণ্ডল নামে ওই যুবক। সেই সময় থেকেই বিশ্বজিৎয়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে আলাপ জমে। আইনজীবী বিশ্বজিৎবাবুর বরাহনগরের একে মুখার্জী রোডের বাড়িতেও কৃশানুর আসা যাওয়া শুরু হয়। সেই সুযোগেই বিশ্বজিৎবাবু এবং তাঁর স্ত্রী ইন্দিরা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় অভিযুক্ত কৃশানু মণ্ডলের। আইনজীবী এবং তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, নিজেকে সিবিআই আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দেয় কৃশানু। বরাহনগরের ওই আইনজীবী এবং তাঁর স্ত্রীকে সিবিআই অফিসে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সে। বিনিময়ে দফায় দফায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বাগুইহাটি রঘুনাথপুরের বাসিন্দা কৃশানু।
[আরও পড়ুন: যুগের পর যুগ সাপের সঙ্গে সহাবস্থান, রীতি মেনে জ্যান্ত কেউটের পুজোয় মাতলেন বর্ধমানবাসীরা]
শুধু তাই নয়, ওই দম্পতির নামে ভুয়ো পরিচয়পত্রও বানিয়ে দেয় কৃশানু। মাসপাঁচেক আগে আইনজীবী এবং তাঁর স্ত্রীর সন্দেহ হয়। কৃশানুকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে কথায় মেলে হাজারও অসঙ্গতি। তাই কৃশানু মণ্ডলের বিরুদ্ধে বরাহনগর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়। আইনজীবী এবং তাঁর স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। তারই ভিত্তিতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার গভীর রাতে নোয়াপাড়ায় (Noapara) হানা দেয় বরাহনগর থানার পুলিশ। সেখান থেকে অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে জাল নথি, ভুয়ো পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সোমবার অভিযুক্তকে বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার কথা ভাবছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাদের খোঁজেও চলছে তল্লাশি।