shono
Advertisement
Christmas

বড়দিনের ছুটিতেও খাঁ খাঁ করছে গড়চুমুক, গাদিয়ারা! মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

কেন কার্যত পর্যটকশূন্য বিখ্যাত এই পর্যটনকেন্দ্রগুলো?
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 07:46 PM Dec 25, 2025Updated: 07:46 PM Dec 25, 2025

মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বড়দিনের ছুটিতেও কার্যত ফাঁকা হাওড়ার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। ‌গড়চুমুক, গাদিয়াড়া থেকে ফুলেশ্বর, সর্বত্র একই অবস্থা। মুখের হাসি ম্লান ব্যবসায়ীদের। অনেকের বক্তব্য প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্যই এবছর পিকনিকের আমেজটা ঠিক জমেনি। আবার অনেকের বক্তব্য, প্রশাসনিক বিধিনিষেধের জেরেই আনন্দ মাটি হয়েছে। আবার বাঘ নেই বলেই গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্ক ফাঁকা বলে দাবি অনেকের।

Advertisement

শীতের মরশুমে হাওড়ার ফুলেশ্বরে হুগলি নদী বা দামোদরের তীরে গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কে বা গাদিয়াড়ায় বহু মানুষ প্রতিবছরই চড়ুইভাতি করতে যান। কিন্তু এবছর বড়দিনে সেভাবে পর্যটকের আনাগোনা পাওয়া গেল না হাওড়ার পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে। ফুলেশ্বরে হাতে গোনা কিছু লোক গিয়েছে। খুব বেশি ভিড় নেই গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কে। সূত্রের খবর গড়চুমুকে মাত্র হাজার পাঁচেক পর্যটক গিয়েছিলেন। প্রতিবছর যেখানে অন্তত এর দুই থেকে তিনগুণ লোক যান। গড়চুমুক জুলজিকাল পার্কে মাত্র হাজার খানেক লোক প্রবেশ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। যেখানে প্রতিবছর কয়েক গুণ বেশি পর্যটক পার্কে ঢোকেন। কারণ, সেখানে ৫০-এর বেশি প্রজাতির পাখি। এছাড়া বাঘরোল, কুমির, সজারু, রক পাইথন, ইমু, নীল গাই-সহ বেশ কিছু বন্যপ্রাণী রয়েছে। কিন্তু এ মরশুমে এদের দেখে মন ভরছে না পর্যটকদের। অনেকের বক্তব্য, বাঘ কোথায়? গাদিয়াড়ার আরও বেহাল দশা। সেখানে নেই কোনও পর্যটক।

এদিন পর্যটকদের না আসার ব্যাপারে অনেকের যুক্তি, প্রচণ্ড ঠান্ডা। কেউ বলছেন, ডিজে বাজানো সহ একাধিক বিধিনিষেধ অরোপই এই পর্যটকশূন্যতার নেপথ্যে। তবে পরিবার নিয়ে যারা এসেছেন তারা শান্তিতেই পিকনিক করছেন। পর্যটক না আসায় মুখের হাসি ম্লান হয়েছে খাবার ব্যবসায়ীদের। খেলনা-ফুলও বিক্রি হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের কথায়, "কোনওবছর এমনটা হয় না।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বড়দিনের ছুটিতেও কার্যত ফাঁকা হাওড়ার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। ‌গড়চুমুক, গাদিয়াড়া থেকে ফুলেশ্বর, সর্বত্র একই অবস্থা।
  • মুখের হাসি ম্লান ব্যবসায়ীদের। অনেকের বক্তব্য প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্যই এবছর পিকনিকের আমেজটা ঠিক জমেনি।
  • আবার অনেকের বক্তব্য, প্রশাসনিক বিধিনিষেধের জেরেই আনন্দ মাটি হয়েছে।
Advertisement