জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: পারিবারিক অশান্তির জের। বাবাকে গুলি করে খুনের পর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার (Bangaon Police Station) গোবরাপুর কেউটিপাড়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে।
মৃতের নাম মোহর গোলদার। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। বাড়ি বনগাঁ থানার গোবরাপুর কেউটিপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মোহর গোলদারকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে অশান্তি চলছিল। কারণ হিসেবে শোনা যাচ্ছে, মোহর দিন দিন নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছিলেন। বন্ধুবান্ধব যাদের সঙ্গে মিশতেন, সকলেই দিনভর নেশা করে পড়ে থাকত। একাধিকবার বারণ করেও কোনও লাভ হয়নি। তা নিয়ে গোলদার বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত।
[আরও পড়ুন: ‘পেট্রল আনতে বলেছিল মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ভাগ্নে’, বিস্ফোরক বগটুই কাণ্ডে ধৃত টোটোচালক]
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত দশটা নাগাদ নেশা করে ফেরেন মোহর। সেই সময় ফের শুরু হয় অশান্তি। ঝামেলা চরমে পৌঁছলে মোহরের স্ত্রী ও পুত্রবধূ পাশের বাড়িতে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরই স্থানীয়রা দেখতে পান, দগ্ধ অবস্থায় উঠোনে ছুটছেন মোহর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মোহরের স্ত্রী পাশের বাড়ি থেকে ছুটে আসেন।
এরপরই খবর দেওয়া হয় বনগাঁ থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত মোহর গোলদারের ছোটো ছেলের অভিযোগ, তাঁর দাদা আশানুরই বাবাকে খুন করে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ও তারপর পালায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নেশা নিয়ে অশান্তির কারণেই এই ঘটনা নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি দেখা হচ্ছে, বন্দুক কোথায় পেল ধৃত যুবক।