শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ফ্রি ফায়ার গেমের আইডি হ্যাকিং নিয়ে বিবাদের জের। নাবালককে খুনের পর প্রমাণ লোপাটের পর দেহ পুড়িয়ে দিল ৪ বন্ধু। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) ফরাক্কায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মৃত নাবালকের নাম পাপাই দাস। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা বাঁধ প্রকল্প আবাসনের ৯ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা সে। গত কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ ছিল পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এর পরই মৃতের চার বন্ধুকে জেরা করতে শুরু করে পুলিশ। তাদের বক্তব্যে অসংগতি ধরা পড়ে। এরই মাঝে সোমবার ঘোড়ায়পাড়া-নিশিন্দ্রা নৌকো ঘাটের মাঝে ৮ নম্বর ব্লকের ফিডার ক্যানেলের ধারে জঙ্গলের মধ্যে এক কিশোরের দেহ পরে থাকার খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। দেখা যায়, দেহের নিম্নাংশ নেই। ক্ষতবিক্ষত মুখ। বুকে লেখা ‘ডোরেমন’ দেখে পরিবার শনাক্ত করে যে দেহটি পাপাইয়ের। এর পরই প্রকাশ্যে আসে হাড়হিম করা তথ্য।
[আরও পড়ুন: সিমকার্ড, ইন্টারনেট ছাড়াই ফোনে চলবে ভিডিও! প্রয়ুক্তিতে ‘বিপ্লব’ আনবে কেন্দ্র]
জানা গিয়েছে, পাপাইয়ের চার বন্ধু। অনিক কর্মকার (১৬), রৌশন জমাদার (১৭), আব্বাস শেখ (১৮), শুভজিৎ মাঝি (১৬)। এই পাঁচজনই ছিল গেমে আসক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, অনিকের একটি ফ্রি ফায়ার আইডি ছিল। যেটা দু হাজার টাকার বিনিময়ে কেনে পাপাই। পরবর্তীতে অনিক পাপাইয়ের কাছে আইডি-টি ব্যবহারের জন্য চায়। পাপাই দিয়েও দেয়। অভিযোগ, এর পর রৌশনের সহযোগিতায় অনিক গোটা আইডি-টি পালটে ফেলে। এখানেই সূত্রপাত। এর জেরেই বন্ধুদের হাতে খুন হতে হল পাপাইকে। জানা গিয়েছে, খুনের পর প্রথমে দেহটি জঙ্গলে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা। তবে যদি ধরা পড়ে যায়, সেই ভয়ে ৬০ টাকা দিয়ে পেট্রল কেনে ওই কিশোরেরা। ফিরে যায় জঙ্গলে। বন্ধুর গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দিয়ে ফিরে আসে বাড়িতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে পুলিশের জালে অভিযুক্তরা।