রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মতুয়া গড়ে খেলতে এসে ফাঁকা মাঠ দেখে হতাশ বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ তেহট্টের বেতাই বিপ্লবী যুব সংঘের মাঠে ছিল বিজেপির জনসভা। এই জনসভায় মূল বক্তা ছিলেন মিঠুন। দুপুর দু'টোয় আসার কথা থাকলেও বিকাল চারটের সময় সভাস্থলে এসে পৌঁছান তিনি। মঞ্চে উপস্থিত ছিল কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়, নদিয়া উত্তর বিজেপি সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস-সহ জেলার অন্যান্য নেতৃত্ব।
যদিও, কয়েকদিন ধরে টানা প্রচার করেও তুলনায় অনেক ছোট মাঠও ভরাতে পারলোনা বিজেপি। এদিনের সভা উপলক্ষে মহিলা এবং পুরুষদের ব্যারিকেড দিয়ে আলাদা বসার জায়গা করা হয়। মাঠের একদিক দিয়ে অনেকেটা জায়গা ছেড়ে রাখা হয় বক্তা এবং অতিথিদের গাড়ি যাওয়ার জন্য। মঞ্চের ঠিক অন্য পাশে পাতা হয় বেশ কিছু চেয়ার। চেয়ারের আসন ভরে জায়। মঞ্চের সামনে ব্যারিকেডের বাইরে কর্মী সমর্থকরা বসে থাকলেও কিছুটা দূরে থেকেই শুরু হয়ে যায় ফাঁকা মাঠ। সেই ফাঁকা মাঠে দেখা গেছে চা বিক্রেতা-সহ অনেককেই গল্প করতে ব্যস্ত।
নির্ধারিত সময় দুপুর দুটো থেকেই বিজেপি নেতৃত্ব বক্তব্য রাখা শুরু করেন। চারটের সময় মূল বক্তা মিঠুন চক্রবর্তী মঞ্চে উঠে সকলকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। এরপরে চেনা ছন্দে বক্তব্য শুরু করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্যে, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম ও কংগ্রেস সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেন মিঠুন। এসআইআর এবং সিএএ নিয়েও বলতে শোনা যায় তাঁকে। মিঠুন বলেন, "কোনও সনাতনী হিন্দুকেই দেশ ছাড়া হতে হবে না।" এসআইআর নিয়ে সকলকে তিনি আশ্বস্ত করেন এবং '২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে সকল সনাতনীদের একজোট হয়ে বিজেপিকে জেতানোর কথা বলেন। সভায় আসা অনেকের দাবি মেনে বক্তব্যের শেষে নিজের কিছু জনপ্রিয় সিনেমার ডায়লগ শোনান তিনি। সেই ডায়লগ শুনে ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব পড়বে এই নিয়ে সন্ধিহান দলেরই একাংশ।
সভাস্থলে উপস্থিত অনেককে বলতে শোনা যায়, "আমরা কোন দলের হয়ে আসিনি, আমরা এসেছি অভিনেতা মিঠুনকে দেখার জন্য।" যদি মিঠুনকে দেখার উদ্দেশ্যে তারা না আসতেন তাহলে মাঠ প্রায় ফাঁকাই পড়ে থাকত বলে সকলের ধারণা। আশানুরূপ লোক না হওয়ার কারণ হিসেবে বিজেপি নেতৃত্ব দায়ি করছেন আবহাওয়াকে। সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি, বইছে কনকনে উত্তরে হওয়া। এই কারণে অনেক মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। নেতৃত্বের দাবি মাঠ ভর্তি না হলেও সীমান্তবর্তী গ্রামীণ এলাকায় যথেষ্ট কর্মী সমর্থক আজকের এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন।
