অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: কিশোরকে গুলি করে খুন ও পুঁতে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় খড়গপুর (Kharagpur) গ্রামীণ থানা এলাকা। অভিযোগ, এলাকার একটি বন্ধ কারখানার নিরাপত্তারক্ষীরাই খুন করেছে তাকে। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু সত্যিই কি নিরাপত্তারক্ষীরাই খুন করেছে কিশোরকে? নাকি নেপথ্যে লুকিয়ে অন্য রহস্য, তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।
খড়গপুর গ্রামীণ থানার কাটাপালের বাসিন্দা ওই কিশোর। বয়স ১৭ বছর। নাম পটল দলুই। ওই এলাকাতেই একটি কারখানা রয়েছে। যা প্রায় ১২ বছর ধরে বন্ধ। শুক্রবার বিকেলে পটলের গরু কারখানার ভাঙা পাঁচিল দিয়ে ভিতরে চলে যায়। তা দেখতে পেয়ে পটল গরু আনতে সেখানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি পটল। এলাকায় খোঁজ খবর শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। এরপরই কিশোরের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, ওই কারখানার নিরাপত্তারক্ষীরাই গুলি করে খুন করেছে কিশোরকে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছে। রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
[আরও পড়ুন: এবার ভক্তদের জন্য দু’বেলাই খুলবে Kalighat মন্দির, মিলবে গর্ভগৃহে প্রবেশের অনুমতি]
শনিবার সকালে দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, চোর সন্দেহেই কিশোরকে গুলি করে নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠছে। প্রথমত, চোর সন্দেহ করে থাকলেও কোম্পানির নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালালেন কেন? সত্যিই কি নিরাপত্তারক্ষীরাই গুলি চালিয়েছিল? অন্য কেউ গুলি চালিয়ে থাকতে পারেন, সেই সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। ঠিক কী কারণে খুন? তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।