বাবুল হক, মালদহ: তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ প্রেমিকা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) বৈষ্ণবনগর থানার রামেশ্বরপুর এলাকায়। কিন্তু কেন এই খুন? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই কলেজ পড়ুয়ার নাম চিরঞ্জিত মণ্ডল। বয়স ২৪ বছর। বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার মহেশ্বরপুর এলাকায়। চিরঞ্জিৎ মালদহ সাউথ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সূত্রের খবর, চারবছর ধরে চিরঞ্জিতের সুজাপুর বাজারপাড়া এলাকার রূপালী মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, প্রেমিকাই মঙ্গলবার রাতে চিরঞ্জিতকে ফোন করে ডাকে। অভিযোগ, সেখানে প্রেমিকা ও পরিবারের সদস্যরা বেধড়ক মারধর করে ওই যুবককে। কীটনাশক খাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ছাত্র। এরপর বন্ধুদের ফোনে বিষয়টি জানায়। বন্ধুরাই চিরঞ্জিতকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে রাতেই স্থানীয় বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে মালদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাতেই যুবককে ভরতি করা হয়। চিরঞ্জিতের অবস্থার আরও অবনতি হলে সকালে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: রাতভর বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে, একাধিক জেলায় কমলা সতর্কতা, কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস?]
এবিষয়ে মৃত কলেজছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতের দাদা বলেন, “আমার ভাইয়ের চার বছর ধরে সুজাপুর বাজারের এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেই ভালোবাসার টানেই গতকাল রাত দশটা নাগাদ আমার ভাইকে ফোন করে ডাকে তাঁর প্রেমিকা। গভীর রাতে আমরা খবর পাই যে, ভাই হাসপাতালে ভরতি। ভাইয়ের থেকেই জানতে পারি তাঁর প্রেমিকা ও পরিবারের সদস্যরা বেধড়ক মারধর করে পরে কীটনাশক খাইয়ে দিয়েছে।” মৃতের পরিবারের দাবি, পুলিশকে অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। আমার ভাইকে যারা এইভাবে মেরেছে তাদের ফাঁসি চাই।”
