শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার নাম জড়াল রায়গঞ্জের এক স্কুল শিক্ষকের। অভিযোগ, ধৃত কুন্তল ঘোষের মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, ইডি তলব করেছে তাঁকে।
রায়গঞ্জের (Raigunj) সুদর্শনপুর হাই স্কুলের শিক্ষক গৌতম তান্ত্রিয়া। বাড়ি স্কুলের কাছেই। শিক্ষক ছাড়াও আরও দুটো পরিচয় রয়েছে তাঁর। প্রথমত, গৌতমবাবু পশুপ্রেমী সংগঠনের প্রেসিডেন্ট। দ্বিতীয়ত, তৃণমূল নেতা হিসেবেই এলাকায় পরিচিত তিনি। জানা গিয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে চাকরি করেন তিনি। প্রথমে ইসলামপুরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। পরে চলে আসেন সুদর্শনপুর স্কুলে। তাঁর স্ত্রী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৭ সালের পর থেকে আচমকাই বদলে যেতে থাকেন গৌতম। এলাকায় রীতিমতো দাপট দেখাতেন তিনি। অভিযোগ, অধিকাংশ দিন স্কুলেই যেতেন না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কিছু বলার সাহস ছিল না বলেই দাবি। কারণ, তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নাকি ওঠাবসা ছিল গৌতমের। তাঁর দাপটে কার্যত বিরক্ত ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা।
[আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে নিরঙ্কুশ জয় তৃণমূলের, কামারহাটি পুরসভাতেও মুখ পুড়ল বিরোধীদের]
সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পর থেকেই নাকি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শোনা যাচ্ছিল গৌতম তান্ত্রিয়ার নাম। এবার প্রকাশ্যে এসেছে ইডির একটি নথি। সেখানে দেখা যাচ্ছে গৌতম তান্ত্রিয়ার নাম। সূত্রের খবর, কুন্তল ঘোষের মিডলম্যান হিসেবে নাকি কাজ করতেন গৌতম। যদিও তাঁর দাবি, কীভাবে ইডির নথিতে নাম এল তা জানা নেই। গৌতমবাবু বলেন, “ইডির তরফে যোগাযোগ করেনি। কী ঘটেছে, সেটাও আমি জানি না। কুন্তলদের চিনি না। খবরে যা দেখছি, ততটুকুই।”