অর্ণব দাস, বারাসত: বারাসতে ফের প্রকাশ্যে দলের অন্তর্কলহ। তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর (Chiranjeet Chakraborty) মন্তব্যের বিরুদ্ধে সোমবার সুর চড়ালেন বারাসত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুনীল মুখোপাধ্যায়। বললেন, “বারাসতের জন্য বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে কোনও কাজ করেননি তিনবারের বিধায়ক।” দলের কোর কমিটির বৈঠকের আলোচনা নিয়ে চিরঞ্জিতের প্রকাশ্যে মন্তব্য করা উচিত হয়নি বলেও এদিন জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বারাসতের জেলা পরিষদ ভবনের তিতুমির সভাকক্ষে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক হয়। তৃণমূলে সূত্রে খবর, অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বারাসতে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে খামতি রয়েছে বলে কোর কমিটির বৈঠকে দাবি করেন। এরই প্রেক্ষিতে রবিবার বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, “উনি (নারায়ণ গোস্বামী) অশোকনগর নিয়ে যতটা না ব্যস্ত, তার থেকে বেশি ব্যস্ত বারাসত নিয়ে। হয়তো এখানে কোনও মধু আছে। আগামী বিধানসভা ভোটে বারাসত থেকে হয়তো উনি টিকিট নেওয়ার চেষ্টা করছেন।” এ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় মুখ খোলেন বারাসত পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুনীল মুখোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: খেলতে খেলতে বিষাক্ত ফল খেয়ে ফেলায় বিপত্তি! অসুস্থ গঙ্গারামপুরের ১১ খুদে]
তিনি বলেন, কোর কমিটির বৈঠকের আলোচনা সম্পূর্ণ দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই ব্যাপারে ওঁর (চিরঞ্জিত চক্রবর্তী) প্রকাশ্যে মন্তব্য করা উচিত হয়নি। এরপরই বারাসতের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আক্রমণ, “আমি বারাসত পুরসভার ১০ বছরের চেয়ারম্যান এবং দু’বছর অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ছিলাম। এই ১২ বছরে বারাসতে কী মধু আছে আমি বুঝতে পারিনি। পুরসভার দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে দেখেছি বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করে কাজ করা ছাড়া উনি (চিরঞ্জিত চক্রবর্তী) বারাসতের জন্য কোনও কাজ করেননি। বারাসতের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে অনেক কাজ করেছেন, কিন্তু বারাসতের বিধায়ক সেটা করেননি।” একইসঙ্গে সুনীলের সংযোজন, “নারায়ণ গোস্বামী দল করে, বারাসতে ওঁর বাড়ি। তাই বারাসতে টিকিট পাওয়ার প্রত্যাশা থাকতেই পারে। এতে ওনার (চিরঞ্জিত চক্রবর্তী) বলার কী আছে। টিকিট চাইলেই যে পেয়ে যাবে এমনটাতো হয় না। কারণ কে টিকিট পাবেন তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করেন।” এই প্রসঙ্গে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, “মুখপাত্র তার কথা বলতেই পারেন। তবে, আমি যেটা বলেছি ঠিকই বলেছি। এটাই আমার চূড়ান্ত কথা।”