ধীমান রায়, কাটোয়া: খেতে গিয়ে স্বামী দেখে তার জন্য রান্নাই করেননি স্ত্রী। এনিয়ে প্রথমে বচসা। তারপর রাগের বশে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করল স্বামীর, অভিযোগ এমনটাই। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতারের রাজিপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মহিলার নাম মঙ্গলি মুর্মু (৩৩)। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দুমকায়। স্বামী সুরেশ মাড্ডির সঙ্গে ভাতারের রাজিপুর গ্রামে এক কৃষকের বাড়িতে ধান রোয়ানোর কাজে এসেছিলেন তারা। সেখানেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল প্রায় ১১ টা নাগাদ গ্রামবাসীরা জানতে পারেন সুরেশ তার স্ত্রীকে ব্যাপকভাবে মারধর করেছে। তারপর গ্রামবাসীরা সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত ও অচৈতন্যবস্থায় দেখতে পান মঙ্গলিকে। মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরে স্থানীয়রাই পুলিশকে খবর দেন। ভাতার থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মুঙ্গলি মুর্মুকে উদ্ধার করে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের সচিব অপসারণ: রাজভবন থেকে ‘রিলিজ’ নন্দিনী চক্রবর্তী, সরাতে নারাজ নবান্ন]
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রান্না করা নিয়ে স্বামী স্ত্রী বচসা থেকে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সুরেশ বলেন, “আমি ভাত খেতে গিয়ে দেখি আমার জন্য খাবার নেই। যেটুকু ছিল তা ছেলেমেয়েদের খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন ঝগড়া শুরু হয়। আমার বউ আমায় প্রথম চড় মারে। তখন খিদের সময় মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। একটা লাঠি দিয়ে মেরেছি। কিন্তু মরে যাবে বুঝতে পারিনি।” যদিও জানা গিয়েছে, লাঠিপেটার পাশাপাশি কাস্তে জাতীয় কিছু দিয়ে সুরেশ এলোপাথারি আঘাত করেছিল তার স্ত্রী মুঙ্গলিকে। ভাতার থানার ওসি অরুন কুমার সোম জানান, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের ধারায় মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।