বাবুল হক, মালদহ: খেলার মাঠে পরিচয় থেকে প্রেম। তবে তাঁদের এই প্রেম যে বাড়ি থেকে মানবে না তা জানতেন দুই তরুণীই। এক তরুণীকে জোরপূর্বক বিয়েও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংসার করা হল না। প্রেমের টানে ঘর ছাড়লেন দুই তরুণী। আপাতত ঠিকানা থানা।
জানা গিয়েছে, ওই দুই তরুণীর একজন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটার বাসিন্দা। আরেক তরুণী কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বাসিন্দা। কলেজে পড়ার সময় জেলা স্তরে ফুটবল খেলতে গিয়ে পরিচয় হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। কথা বার্তা থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুই তরুণী। কিন্তু তাঁরা খুব ভাল করেই জানতেন যে, এই সম্পর্ক মেনে নেবে না পরিবার। তাই গোপনই রেখেছিল নিজেদের সম্পর্ক। কিন্তু একটা সময় জানাজানি হয়েই যায়। পরবর্তীতে আশঙ্কা সত্যি করে এই প্রণয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবার। ফালাকাটার তরুণীকে সমকামী সম্পর্ক থেকে বের করতে বাড়ি থেকে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। নির্ধারিত দিনে বিয়েও হয়। কিন্তু সংসার করতে পারেননি ফালাকাটার ওই তরুণী। বিয়ের একমাসের মাথায় স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকা তরুণীর সঙ্গে ঘর ছাড়েন তিনি।
[আরও পড়ুন: ক্যানসার রোগীদের প্রতি সহমর্মিতা, বাড়ির আপত্তি উপেক্ষা করেই চুল দান কলেজ ছাত্রীর]
সূত্রের খবর, দোলের দিন ঘর ছাড়েন ওই যুগল। সোজা চলে আসেন মালদহে। সেখানে হোটেলে ওঠেন। তাঁদের আচরণ দেখে সন্দেহ হয় হোটেল কর্মীদের। তাঁরাই খবর দেয় মালদহ থানায়। এদিকে দুই তরুণীর পরিবারের তরফেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মালদহের থেকে উদ্ধার করে দুই তরুণীকে। বর্তমানে থানায় রয়েছেন তাঁরা। পরিবারে সদস্যরা সম্পর্ক মেনে নিলে বাড়ি ফিরবেন, এমনটাই জানিয়েছেন যুগল।