অর্ণব দাস: বিরাটিতে তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ দত্ত খুনে শুরু ধরপাকড়। এই ঘটনায় ধৃত দিবাকরকে বৃহস্পতিবার নিমতা থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়। রাতভর জেরার পর একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
বুধবার সন্ধেয় বিরাটির (Birati) বণিক মোড়ে দলীয় কার্যালয়েই ছিলেন শুভ্রজিৎ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে চড়ে অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েকজন যুবক তাঁর পিছু নেয়। এরপর আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কমপক্ষে পাঁচ রাউন্ড গুলি চলে এলাকায়। চারটি গুলি ওই তৃণমূল কর্মীর বুকে লাগে। একটি গুলি লাগে মাথায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন শুভ্রজিৎ। গুলির শব্দ পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে ভিড় জমান তাঁরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ইতিমধ্যেই এলাকা ছাড়ে অভিযুক্ত যুবকেরা। খবর দেওয়া হয় নিমতা থানায়। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুভ্রজিৎকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানান, ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ১ মিনিটের মধ্যে পাঁচটি গুলি চালিয়ে খুন করা সহজসাধ্য বিষয় নয়। তাই পুলিশ মনে করছে কোনও শার্প শুটারকে দিয়ে খুন করানো হয়েছে শুভ্রজিৎকে।
[আরও পড়ুন: টেলি অভিনেত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের হুমকি! অবশেষে পুলিশের জালে অভিযুক্ত]
এদিকে, এই খুনের ঘটনাটি ধরা পড়েছে ওই এলাকার সিসি ক্যামেরায়। সেই ফুটেজেই দেখা গিয়েছে দিবাকরকে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ তাকে প্রথমে আটক করে। রাতভর জেরা করা হয় দিবাকরকে। বয়ানে মেলে একাধিক অসঙ্গতি। তার ফলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, বিরাটির ত্রাস বাবুলালের ঘনিষ্ঠ দিবাকর। অভিযোগ, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে বাবুলালই এই কাজ করেছে। যদিও গেরুয়া শিবির (BJP) সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বাবুলালের সঙ্গে দিবাকরের সম্পর্ক রয়েছে কিনা, খুনের ঘটনা দিবাকরের ভূমিকাই বা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।