জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: করোনার (Corona Virus) উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও পয়সার অভাবে বেলেঘাটা আইডিতে যেতে পারলেন না ভিনরাজ্য ফেরত বাংলার এক যুবক। দীর্ঘক্ষণ পড়ে রইলেন ঠাকুরনগর হাসপাতালের প্রতীক্ষালয়ে। খবর পেয়েই তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে পাঠালেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ওই যুবক যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আরও বহু মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে হোটেল ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন গাইঘাটার বাসিন্দা ওই যুবক। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার বাড়িতে ফেরেন তিনি। এরপর করোনার একাধিক উপসর্গ দেখা দেওয়ায় ঝুঁকি না নিয়ে নিজেই বনগাঁ হাসপাতালে যান তিনি। সেখানকার ডাক্তাররা প্রাথমিক পরীক্ষার পরই তাঁকে বেলেঘাটা আইডিতে যেতে বলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন ওই যুবক। তিনি বাড়ি পৌঁছনোর আগেই গ্রামে খবর পৌঁছে যায় যে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ফলত সংক্রমণের আতঙ্কে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় ওই যুবককে। এরপর থেকেই ঠাকুরনগর হাসপাতালের প্রতীক্ষালয়ে ঠাঁই হয়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে এক কোটিতে আক্রান্ত ১২৬ জন, বিরোধীদের পালটা দিতে তথ্য পেশ তৃণমূলের]
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য সুরজিৎ দাস নামে এক যুবক জানান, দীর্ঘক্ষণ ওই যুবককে প্রতীক্ষালয়ে পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। এরপরই খবর যায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে যুবককে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে পাঠান খোদ এসডিপিও। যুবকের কাছ থেকে মিলেছে প্রেসক্রিপশনও। জানা গিয়েছে, অবিলম্বেই তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এই ঘটনায় আতঙ্কে স্থানীয়রা। কিন্তু গোটা ঘটনায় হাসপাতালকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন সুরজিৎ বাবু। কেন ওই যুবক আক্রান্ত সন্দেহ করার পরই হাসপাতালের তরফেই তাঁকে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তিনি। পাশপাশি, দীর্ঘ সময় প্রতিক্ষালয়ে পড়ে থাকা সত্ত্বেও কেন ঠাকুরনগর হাসপাতালের কারও নজরে পড়লেন না ওই যুবক, তা নিয়েও দানা বেঁধেছে সন্দেহ।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভরতি হাওড়ার বাসিন্দা, আতঙ্কে কাঁটা হাসপাতাল]
The post সংক্রমণের ভয়ে মুখ ফেরাল প্রতিবেশীরা, রাস্তাতেই পড়ে থাকলেন রোগী appeared first on Sangbad Pratidin.
